ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

৫ মাস পর অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার

পেকুয়া প্রতিনিধি :: পেকুয়ায় অবশেষে ৫ মাস পর অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী তাসমিন জন্নাতকে (১৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। পেকুয়া থানার এস,আই ইয়াকুবুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পুলিশ শিলখালী ইউনিয়নের চেপ্টামুড়া এলাকা থেকে বিকেলে তাকে উদ্ধার করে। তাসমিন জন্নাত উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা এলাকার মনছুর আলমের মেয়ে। তিনি পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত ২৪ জুন তাসমিন সকালে মাদ্রাসা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন সে অপহরণ হন। পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখোঁজি করেন। তার কোন খদিস পাওয়া যায়নি।

তাসমিনের পিতা মনছুর আলম জানায়, আমার মেয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি করি। পরে শুনেছি শিলখালীর এক যুবকসহ কয়েকজন দুবৃর্ত্ত আমার মেয়েকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বিষয়টি শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইনকে অবগত করি। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে (৮৮৬/১৯) মামলা দায়ের করি। পুলিশ শিলখালী চেপ্টামুড়া এলাকার জায়েদের বাড়ি থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। তাসমিনের মা পারভীন আক্তার জানায়, প্রায় ৫ মাস আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। তাসমিন শারীরিক প্রতিবন্ধী। (সোমবার) আমার মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রচুর মারধর করা হয়েছে।

শিলখালী ইউপি’র চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন জানায়, মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। জায়েদের পরিবার মেয়েটিকে অপহরনের কথা স্বীকার করেনি। এখন শুনেছি ওই মেয়েটিকে জায়েদের বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।

পেকুয়া থানার এস,আই ইয়াবুকুল ইসলাম জানায়, বিকেলে শিলখালীর চেপ্টামুড়া এলাকার জায়েদের বাড়ি থেকে শিক্ষার্থী তাসমিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়েছে। তাসমিনকে চিকিৎসার জন্য পিতা মনছুর আলমের জিম্মায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। নারী কোর্টের একটি মামলা রয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটিরত চিকিৎসক ডা: অনুরাক্ষী বড়–য়া জানায়, মেয়েটার পা ও পিঠে আঘাত রয়েছে। মনে হয় ৩/৪ দিন আগে মারধর করা হয়েছে। দাগগুলি কালো আকৃতির। তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। মেয়েটি অন্ত:স্বত্তা।

পাঠকের মতামত: