ঢাকা,শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

বিএফইউজে সভাপতি-মহাসচিবকে আইনি নোটিশ

৩ দিনের মধ্যে জেইউসি’র কথিত এডহক কমিটি প্রত্যাহার করুন, নইলে কনটেম্পট মামলা

বার্তা পরিবেশকঃ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন -বিএফইউজে এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরীকে ৩ দিনের মধ্যে কথিত এডহক কমিটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আদালত অবমাননার আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ এবং আদেশ সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও
আইন ও বিধি বহির্ভূতভাবে কক্সবাজারের সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগঠন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার-জেইউসি’র আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দেয়ার অভিযোগে এই নোটিশ দেয়া হয়।

এতে বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে ‘আদালত অবমাননা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ল ফার্ম জুরিস্টস কনসোর্টিয়ামের মক্কেল নাছির উদ্দিন আল নোমানের পক্ষে এই নোটিশ দিয়েছেন ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। সোমবার (২১এপ্রিল) রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে এবং ই-মেইলে এই নোটিশ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মহাসচিব বরাবরে পাঠানো হয়েছে। জুরিস্টস কনসোর্টিয়ামের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই নোটিশে বলা হয়,মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে প্রথম আপীল নং ১৬/২০২৫ বিচারাধীন এবং কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের তর্কিত আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতাদেশ দ্বারা বারিত করা সত্ত্বেও মামলা চলাকালীন অবস্থায় বিগত ১২/০৪/২০২৫ ইংরেজি তারিখে এডহক কমিটি গঠন আইনত অবৈধ এবং সুস্পষ্টভাবে আদালত অবমাননা।
এতে বলা হয়, বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে আপনাদের (ওবায়দুর রহমান শাহীন ও কাদের গণি চৌধুরী) প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, বিগত ১২/০৪/২০২৫ ইংরেজি তারিখে গঠিত এডহক কমিটি অস্ত্র নোটিশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার পূর্বক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্ৰহন করবেন অন্যতায় আমরা আমাদের মক্কেলের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করতে আপনাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মোকদ্দমা আনয়নে বাধ্য হবো এবং সে ক্ষেত্রে তাবৎ পরিণতির জন্য আপনারাই দায়ী হবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার -জেইউসি এর ৬৭ নম্বর সদস্য নাছির উদ্দিন আল নোমানসহ ১০ জন সদস্য ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোটাধিকার চেয়ে ২০২৪ সালে কক্সবাজার সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনে তাদের ভোটাধিকার না দিয়ে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারিত সেই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু ওই মামলার ৩ নম্বর বিবাদী নির্বাচন কমিশনের ৩নং সদস্য আদালতে ওই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে মিচ আপিল দায়ের করেন। ২০২৫ সালের ১৬ মার্চ সেই আপিলের শুনানি শেষে ‘অত্যন্ত ইচ্ছাকৃত ভাবে তথ্য ও পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই’ জেলা জজ আদালত বাদীগণের আরজিই খারিজ করে দেন।

পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করলে অবকাশকালিন বিচারপতি আতাবুল্লাহ আপীল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেলা জজের রায় ডিক্রির উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

প্রেরক
মহামান্য হাইকোর্টে আপিলকারীর পক্ষে
শামসুল আলম শ্রাবণ
০১৮১২৪৩২২৬৭

পাঠকের মতামত: