টেকনাফ প্রতিনিধি :
মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে টেকনাফে তিন জন পদস্থ কর্মকর্তার যোগদান ও বদলী হয়েছে। ইয়াবার রমরমা বানিজ্য যেখানে ওপেন সিক্রেট হয়ে যুব ও ছাত্র সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে শুরু করেছে এর থেকে উত্তোরণে টেকনাফের সাধারন মানুষ নবাগত তিন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুলসহ বদনাম থেকে মুক্ত হওয়ার অনেক কিছু আশা করছেন।
নবাগত কর্মকর্তাগণ হচ্ছে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ জামান চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান এবং টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়–য়া।
ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নবাগত উর্ধ্বতন এই তিন কর্মকর্তাদের বরণ করে নিয়েছে টেকনাফের সুশীল সমাজ ও সচেতনমহল।
বরণ অনুষ্ঠানে টেকনাফের সুশীল ও সচেতনমহলের মতে, ‘সীমান্ত জনপদ টেকনাফে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশ চাইলে ইয়াবা ব্যবসা নির্মুল সম্ভব। বড় বড় ইয়াবার চালান আটক করলেও সোর্সকে অর্থের পরিবর্তে ইয়াবা দেওয়ার অভিযোগ উঠে এবং মালিকবিহীন ইয়াবা জব্দের ঘটনা বৃদ্ধির ফলে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ বা নির্মুল হচ্ছেনা’।
এ তিন পদস্থ কর্মকর্তার সমন্বয়ে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হলে অভিশপ্ত ইয়াবার দুর্নাম থেকে টেকনাফবাসী পরিত্রাণ পাবে। এমন প্রত্যাশা করছেন টেকনাফবাসী।
অনুষ্ঠানে টেকনাফ মডেল থানার নবাগত ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, টেকনাফের ইয়াবাসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ হবে আমার প্রথম কাজ। এরপর হবে নির্মুল অভিযান। এটি কথায় নই, কাজেই প্রমান দেওয়া হবে। একজন দেশের নাগরিক হিসেবে আইনশৃংখলা, দেশ ও জাতির স্বার্থে মাদকের ভয়াবহতা রোধে তথ্য দিয়ে সহযোগীতার আহবান জানান।
নবাগত নির্বাহী কমকর্তা মোঃ রবিউল হাসান বলেন, টেকনাফের সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ও গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা প্রয়োজন।
টেকনাফ-২ বিজিবির নবাগত অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি নবাগত কর্তা। এখন বেশি কিছু বলবনা। সুতরাং কাজের মাধ্যমে আমার পরিচয় হবে। টেকনাফ নিয়ে আমি পূর্বে কাজ করেছি। স্থানীয়রা সঠিক তথ্য উপাথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে মাদকসহ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের পক্ষে সম্ভব’।
পাঠকের মতামত: