ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

২৪ দেশের সামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সেমিনার কক্সবাজারে

ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::
২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর যৌথভাবে ৪৬ তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ১২-১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইনানীর হোটেল সী পার্লে (রয়েল টিউলিপ) বিভিন্ন দেশের বাহিনী প্রধানগণ একটি গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহন করেন।
১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেমিনারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি” শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহনকারীরা বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা মিশন এবং করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ অংশগ্রহণকারী দেশ সমূহের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পারস্পারিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা আরো বৃদ্ধি করাই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য। সেমিনারটি এতদঞ্চলের স্থলবাহিনীগুলোর বৃহত্তম সমাবেশ।
সেমিনার শেষে ২৪ দেশের সামরিক কর্মকর্তাগণ উখিয়ার কুতুপালং এ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন।
এসময় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকগণ আগত প্রতিনিধি দলকে সমস্যা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরে।
এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী দলকে ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ব্রিফিং প্রদান করেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিগণ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।
বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই ইভেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।

পাঠকের মতামত: