ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

২০ দফা দাবী নিয়ে মাঠে নামছে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ২০ টি দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনে নামছেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সকল ধরণের ফি প্রদান বন্ধ করার পাশপাশি অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ফোরাম।

তাদের দাবীগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপচার্য ও কোষাধ্যক্ষ, স্থায়ী ক্যাম্পাস, উন্নত ক্লাসরুম, যোগ্যতা সম্পন্ন রেজিষ্ট্রার, প্রক্টর ও ডিন, পর্যাপ্ত মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, স্বয়ং সম্পূর্ণ লাইব্রেরী ও কার্যকর ওয়েবসাইট, হিসাবরক্ষণ বিভাগকে পূর্ণবিন্যাস, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেমিষ্টার সম্পন্ন করা, জরিমানা ও সেমিষ্টার ফি’র জন্য নির্দিষ্ট নিয়মকানুন করা, ট্রাস্টি বোর্ড ও প্রশাসনের গোলযোগ থেকে শিক্ষা কার্যক্রমকে মুক্ত রাখা, নিরপেক্ষ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিশ্চিতকরণ, সুগঠিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার, কমন রুম ল্যাব সুবিধা নিশ্চিতকরণ, জাতীয় দিবস, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষা সফর ও ইন্ড্রাস্টিয়াল ভিসিট এবং কর্মশালার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ, প্রতিষ্ঠিত এবং সক্রিয় ক্লাব সমূহকে প্রণোদনা ও অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ, ক্যান্টিন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, মানসম্মত শৌচাগার নিশ্চিতকরণ, বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বন্দের নিরসন।

এবিষয়ে স্টুডেন্ট ফোরামের মুখপাত্র শামা নুর বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম ছাড়া কিছুই নেই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ইউনিভার্সিটির নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি । কিন্তু কোন সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামছি। আমাদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন ধরণের ফি দিব না।

আরেক মুখপাত্র আরিফ সাঈদ বলেন, প্রতি সেমিষ্টার ( ৬ মাস) থেকে প্রায়ই আড়াই কোটি টাকা আয় করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ আমাদের নেই মানসম্মত শৌচাগারও । শুধু নামের একটি ইউনিভার্সিটি রয়েছে আমাদের। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা অনেকবার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। বারবার তারা আশ্বাস দিয়েছে। আমরা মঙ্গলবার মানববন্ধন করব।

স্টুডেন্ট ফোরামের অন্যতম মুখপাত্র হোসাইন মূরাদ প্রিন্স বলেন, প্রতি সেমিষ্টারে সর্ব্বোচ্চ খরচ হয় ১ কোটি টাকা। অথচ বাকি টাকা কোথায় যায় তার কোন হদিস নেই। আমাদের ক্যাম্পাস নেই উপচার্য নেই। পাশ করে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না অস্থায়ী প্রত্যায়নপত্র। এনিয়ে অনেক আলোচনা করেছি সংশ্লিষ্ঠদের সাথে। আমরা আর কথা বলতে চাই না। আমরা চাই রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত উপচার্য। আমাদের দাবী আদায়ের জন্য আমরা মঙ্গলবার মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল হামিদ বলেন, রাষ্ট্রপতিকর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচারয ও স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে জানা নেই।

পাঠকের মতামত: