ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

২০ টাকার নিচে পেঁয়াজের দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ৬ টাকা

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি :: আমদানি বেড়ে যাওয়ায় আরো কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজেটের আগেই প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া বাজেটে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যে দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়। এরপর থেকে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে বর্তমানে কেজি ২০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। ভোক্তারা জানান, কোরবানির ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে অবশ্যই স্বস্তিদায়ক।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে আজ সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থল বন্দরগুলো দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। প্রতিটি দোকান-গুদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আসছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর বেচাবিক্রিও কম বলে জানান আড়তদাররা। গত এক সপ্তাহের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমাদের দেশের পেঁয়াজের বাজার ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার কারণে মূলত দাম কমছে। গত বছরের শেষের দিকে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দুই দফায় পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরি পেরিয়ে যায়। সে সময় মিয়ানমার, তুরস্ক , মিশর, পাকিস্তানসহ আরো বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ এনে পেঁয়াজের চাহিদা মিটানো হয়। এরপর পর দেশের কৃষকরাও পেঁয়াজ চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেন। যদিও বর্তমানে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে।

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ব্যবসায়ীর হাতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে কিন্তু পেঁয়াজের চাহিদা বাড়েনি। স্বাভাবিকভাবে চাহিদা কমে গেলে দাম কমে যাবে। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। চাইলেই কেউ মজুদ করে রাখতে পারবেন না।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীদের হাতে। বাজারে মজুদ থাকার পরে অবস্থা বুঝে দাম বাড়িয়ে দেন। ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের একপ্রকার জিম্মি করে ইচ্ছেমতো দাম উঠানামা করে থাকেন। পেঁয়াজের বাজার এখন কমতির দিকে থাকলেও ক’দিন পরে দেখা যাবে কোনো একটা অজুহাত দাঁড় করিয়ে ফের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে আমরা বারবার বাজার মনিটরিংয়ের দাবি করে আসছি, সেটি কিন্তু হচ্ছে না। অনেক সময় প্রশাসন খুব বেশি দাম বাড়লে বাজার মনিটরিংয়ে নামেন। কিন্তু নিয়মিত বাজার মনিটরিং হয় না।

পাঠকের মতামত: