ঢাকা,শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

হেফাজতের কাউন্সিল রবিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা :: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী রবিবার। হেফাজতের সদর দপ্তর হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় হেফাজতের এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে আমিরের পদটি শূন্য রয়েছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে হেফাজত নেতাদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হওয়ার পাশাপাশি কর্মীসমর্থকদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ উদ্দীপনা।

জানা যায়, আগামী রবিবার সকাল ১০টায় হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার শিক্ষা ভবনের ৩য় তলায় মিশকাতের ক্লাসরুমে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করবেন হেফাজতের সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। কাউন্সিলে যোগ দিতে সারাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশ কেন্দ্রীয় শীর্ষ মুরুব্বি অংশ নিবেন এবং তাঁরাই ঠিক করবেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সদ্য প্রয়াত সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন। আমির হওয়ার ক্ষেত্রে দুই বাবুনগরী আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও শাইখুল হাদিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী থেকে যে কোন একজন আমির হওয়া অনেকেটা নিশ্চিত।

এদিকে মহাসচিব পদে প্রায় অনেক নেতা আলোচনা পর্যালোচনায় রয়েছেন মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি, মুফতি মাহফুজুল হক, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা শফিউল্লাহ পীর, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুর, মাওলানা লোকমান মোজাহেরুল, মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজির নাম শুনা যাচ্ছে।

হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র দাওয়াতি মেহমান অর্থাৎ কাউন্সিলর ব্যাতিত অন্য কেউ প্রবেশ করার কোন সুযোগ থাকবে না। ইতিমধ্যে দাওয়াতি কাজ প্রায় শেষের দিকে।

হেফাজতের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির বলেন, কাউন্সিলরদের মতামত গ্রহণ করেই আমির, মহাসচিব নির্বাচিত হবেন। তবে বিতর্কিত কেউ মহাসচিব হবেন না বলে আশা করছে তৃণমূল কর্মীরা।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারী কেন্দ্রিক কওমি আক্বীদাপন্থি অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ গঠিত হয়। সংগঠনটি দেশজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে ১৩ দফা দাবি এবং ২০১৪ সালে ৫ মে শাপলা চত্বর অবরোধের মাধ্যমে। আহমদ শফিকে আমির ও জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব করে হেফাজতের ২২৯ সদস্যের মজলিশে শুরা কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

পাঠকের মতামত: