সৌদি আরব প্রতিনিধি :: করোনা ভাইরাস রোগের চেয়ে ভয়াবহ মরণব্যধি আরকেক রোগের নাম প্রবাসীদের মানসিক চিনতা। সমগ্র বিশ্বে করোনা আতংক থাকলেও বেশি প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার সৌদি আরবে।
গত ১ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে লক ডাউন বা সন্ধা কালীন টানা একমাস কারফিউ ঘোষনা করার চিন্তা ও আতংকে প্রতিদিন ঘুমন্ত বা স্ট্রোক হচ্ছে প্রবাস মৃত্যু।
গত ৩১ মার্চ পবিত্র মক্কা নগরী চারা মনচুরের ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আলী আকবর (৫৫) স্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে।
শারিরিক একটু খারাপ লাগলে মক্কা নগীর নুর হাসপাতাল ভর্তি হন। তিনদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। মক্কা প্রবাসী আলী আকবরের বাড়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়ার ইউনিয়নের মরফলা গ্রামে।
অন্যদিকে, সৌদি আরব রাজধানী রিয়াদে এক তরুণ প্রবাসীর মৃৃত্যু। ভাগ্যের চাকা বদলাতে গত ২ মাস আগে মোঃ শামিম (২৩) নামের এক বাংলাদেশি তরুণ পাড়ি দিয়েছিলেন মরুর দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের ওয়াদি লেবনে৷ স্বপ্ন আর বাস্তবে রুপ দিতে পারেনি নবাগত এই রেমিটেন্সযোদ্ধা৷ গেল রবিবার ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে না ফেরার দেশে চলে যান এই প্রবাসী৷
তার বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে৷ তার বাবার নাম মোঃ আনজু মিয়া৷
তার এই মৃৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় নেমে আসে শোকের মাতম৷ মরহুমের লাশ রিয়াদের ছিমুছি হাসাপাতালের হিমঘরে রয়েছে৷
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরবে সকল অফিস আদালতসহ বিমান বন্দর থেকে শুরু করে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন রেখেছে দেশটির সরকার৷ তাই লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে৷
পাঠকের মতামত: