ইমাম খাইর, কক্সবাজার :: বিশ্বখ্যাত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ, রাত্রিযাপন নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে জীবিকা হারা হবে স্থানীয় বাসিন্দাসহ অন্তত তিন লাখ মানুষ। দ্বীপের মানুষগুলো পুরনো পেশায় ফিরতে গিয়ে বাড়বে অপরাধপ্রবণতা। কর্মসংস্থান হারাবে পর্যটনশিল্পে নিয়োজিত লক্ষাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি। ঝুঁকিতে পড়বে বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ।
এসকল আশঙ্কা প্রকাশ করে জনবিরোধী এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার-টুয়াক।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ১২ দফা দাবি উপস্থাপন করেন টুয়াকের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ।
এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার সর্ম্পূন বন্ধ করা, দ্বীপের ভাঙনরোধে মূল ভূখন্ডের ৫০০ মিটার দূরে আধুনিক জেঠি নির্মাণ, দ্বীপে উৎপাদিক সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে জেনারেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ করাসহ ১২ টি দাবি উপস্থাপন করা হয়।
এসময় ট্যুর অপারেটর নেতারা বলেন- মূলত কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার জন্য একটি জাতীয় আর্ন্তজাতিক চক্র সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিতকরণের নামে পুরো কক্সবাজারকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। কক্সবাজারে সবকিছু দখল করার যে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে তারই অংশ হিসাবে ধীরে ধীরে সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে চক্রটি। তাই আপামোর কক্সবাজারের মানুষকে পর্যটনশিল্পট বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।
এতে সূচনা বক্তব্যসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন টুয়াকের প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন- টুয়াকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল, সহসভাপতি হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা আশেক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আজম, যুগ্ম সম্পাদক আল আমীন বিশ্বাস, এসএ কাজল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তোহা ইসলাম, শহিদুল্লাহ নাঈম, মোহাম্মদ ইউছুপ, মোহাম্মদ শিবলি সাদেক, মুহাম্মদ মুসা, জিল্লুর রহমান চৌধুরী, আবদুস সাত্তার, সাইফুল আলম, সাইম রহমান অভি।
সেন্টমার্টিনদ্বীপে পর্যটন শিল্প বিকশিত হওয়ার পূর্বের অবস্থায় গিয়ে সমুদ্র হতে মাছ আহরণ, প্রবাল উত্তোলন, প্রবাল পাথরকে নির্মাণ কাজে ব্যবহার, মাছের অভয়ারণ্য ধ্বংস, শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ করে নানা উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করবে। এতে দ্বীপের পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন হবে।
উল্লেখ্য- গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যটন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ সভায় সেন্টমার্টিনে রাত্রি যাপন নিষিদ্ধকরণসহ আরো বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা কক্সবাজারের পর্যটন খাতের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্টরা। গণমাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশের পর প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা। শুক্রবার বেলা তিনটায় সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। তারা কোনভাবে এই সিদ্ধান্ত মানবে না।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক সিভয়েসেকে জানান, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করার জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতিদিন ১২৫০ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে বিদেশী পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণে না আসার পাশাপাশি দেশীয় পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে বিমুখ হবে। এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমন ব্যবসা ক্ষতি হওয়ার সাথে সাথে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে গড়ে উঠা কক্সবাজার পর্যটন ব্যবসাও ক্ষতি সাধিত হবে।
পর্যটনকে ভালবেসে বাৎসরিক মাত্র ৫ মাস ব্যবসা করার ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোগক্তারা হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে-জাহাজ ব্যবসায়ি, হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্টুরেন্ট ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাতে বিনিয়োগকারীর পুঁজি হারানোর পাশাপশি কর্মরত তিন লক্ষাধিক মানুষ ব্যবসা ও কর্মসংস্থান হারাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,কোভিট-১৯ এর প্রভাবে প্রায় ৭ মাস পর্যটন স্পট বন্ধ ছিল। ফলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।
অন্যদিকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সরকারি কোন সহায়তা পায়নি। এমতাবস্থায়, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে পর্যটনশিল্পে ধস নামবে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে পর্যটক ভ্রমন সেবা প্রদানের মাধ্যমে দুইশতাধিক ট্যুর অপারেটর ও পাঁচ শতাধিক গাইড এবং লক্ষাধিক পর্যটকসেবি কর্মকর্তা-কর্মচারি তাদের কর্মসংস্থান হারাবে বলে মনে করেন পর্যটন ভিত্তিক সংগঠন টুয়াকের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ।
তার মতে, চলমান অবস্থায় আগামী পাঁচ বছর পর্যটকদের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের সুযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রকাশ:
২০২০-১০-০৩ ১৭:০২:১৬
আপডেট:২০২০-১০-০৩ ১৭:০২:১৬
- চকরিয়ায় অভিযোগের ৪ মাসেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত হয়নি
- জেলার শীর্ষ গরুচোর বহু মামলার আসামী নবী হোছাইনসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
- পেকুয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় দুই আ’লীগ নেতা জেল হাজতে
- চকরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে নতুন দুই জোড়া ট্রেন
- চকরিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ, কাটা হচ্ছে পাহাড়
- ঈদগাঁওয়ে মেলা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও ইউএনওকে স্মারকলিপি প্রদান
- চকরিয়ায় আলোচিত সেনা কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় চারমাস পর ১৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল
- চকরিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে দুটি মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করেছে প্রশাসন
- কক্সবাজারস্থ উখিয়া সমিতির বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন
- চকরিয়ার দুই ইয়াবা পাচারকারী পটিয়ায় গ্রেফতার, মাইক্রোবাস জব্দ
- চকরিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে দুটি মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করেছে প্রশাসন
- চকরিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ, কাটা হচ্ছে পাহাড়
- চকরিয়ায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক ও সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- মালুমঘাট সড়ক দূর্ঘটনায একজন নিহত
- পেকুয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় দুই আ’লীগ নেতা জেল হাজতে
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে নতুন দুই জোড়া ট্রেন
- জেলার শীর্ষ গরুচোর বহু মামলার আসামী নবী হোছাইনসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
- কক্সবাজারস্থ উখিয়া সমিতির বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন
- চকরিয়ায় আলোচিত সেনা কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় চারমাস পর ১৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল
- চকরিয়ায় স্বামীর চুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত, শ্বাশুড়ি আশংকাজনক
- চকরিয়ায় মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে বৃদ্ধের মৃত্যু
পাঠকের মতামত: