নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এতে প্রবালদ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক সেখানে আটকা পড়েছেন। তবে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আটকাপড়া পর্যটকরা সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ফিরতে পারেন।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।
ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, রবিবার ভোররাত হতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে রবিবার ও সোমবার জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। পরিবেশ সুষ্ঠু হলে সোমবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে। তখন আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরে আসতে পারবে। তবে এদিনও আবহাওয়া জাহাজ চলাচল উপযোগী না হলে তাদের আরও কয়েকদিন থাকতে হতে পারে।
এর আগে রবিবার (৫ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
এদিকে যেসব পর্যটক টিকিট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে এসে দ্বীপে রাত যাপনকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানান ইউএনও পারভেজ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে পাঁচটি জাহাজে তেরশরও বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান। এর মধ্যে এক হাজারের মতো পর্যটক ফিরে এলেও বাকিরা আটকা পড়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে কয়েকশ পর্যটক দ্বীপে রাত্রিযাপন করেছেন। তারা ভালো আছেন। তাদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: