যুগান্তর : রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের নানা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের প্রস্তাব এখনো অনুমোদন হয়নি। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা সরকারিভাবে অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত কোনো এলাকাই লকডাউন হচ্ছে না। এমনটি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
রোববার সন্ধ্যায় তিনি যুগান্তরকে জানান, শনিবার এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকবেলায় পরীক্ষামূলকভবে ঢাকা শহরের দুটি স্থান এবং দেশের তিনটি জেলা লকডাউন করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়। তবে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই প্রস্তাবনা সরকারিভাবে অনুমোদিত হয়নি। তাই লকডাউন কবে কখন শুরু হবে সেটি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। www.corona.gov.bd শীর্ষক একটি ওয়েবসাইটে ঢাকার বিভিন্ন স্থান এবং বিভিন্ন জেলা লকডাউনের যে তথ্য দেয়া হয়েছিল, ওয়েবসাইট থেকে সে তথ্য ইতিমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শনিবার ওই ওয়েবসাইটের তথ্য দিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে লাকডাউন সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করা হলে জনমনে বিভ্রান্তি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। যদিও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
এদিকে শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন জানান, সারা দেশে করোনাক্রান্ত এলাকাকে তিনটি জোনে ভাগ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব (রোববার) প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হবে। এজন্য শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করে শিগগিরই তাতে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি শনিবার যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন , ‘করোনা আক্রান্ত হারের উপর ভিত্তিকরে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোনে এলাকা ভাগ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এ বিষয়ে একটি তালিকা করে কিছু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বিশ্লেষণ করে সংযোজন বা বিয়োজনের সিদ্ধান্ত দেবেন। অথবা প্রস্তাব যাচাই করতে আরও সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। পুরো বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তার সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।’
পাঠকের মতামত: