ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে অবদান রেখে যাচ্ছেন আহমদ আলী স্মৃতি মেধা বৃত্তি 

কক্সবাজারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সুদীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অনন্য অবদান রেখে যাচ্ছেন পেকুয়া উপজেলার পূর্ব মেহেরনামায় প্রতিষ্ঠিত বহুমুখী পল্লী উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে “আহমদ আলী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা। চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩শত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। অতীতের ন্যায় এ বছরেও স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের মধ্যদিয়ে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও সুনামের সহিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ও বিকালে চকরিয়া গ্রামার স্কুল কেন্দ্রে এবং পেকুয়া পূর্ব মেহেরনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক যোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়।
বৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরেও দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে চকরিয়া গ্রামার স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ৯শত ৮৫জন শিক্ষার্থী। অপরদিকে পেকুয়া উপজেলার পূর্ব মেহেরনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩শত ৫জন শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
যেসব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে সেইসব শ্রেণি গুলো হচ্ছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় শাখার ৩য় শ্রেণি, ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬ষ্ট শ্রেণি, ৭ম শ্রেণি ও ৮ম শ্রেণি। এছাড়াও মাদরাসা বিভাগের প্রাথমিক শাখা থেকে ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি এবং ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আয়োজিত বৃত্তি  পরীক্ষায় অংশ নেন।
মাওলানা আহমদ আলী স্মৃতি মেধা বৃত্তি পরীক্ষার চকরিয়া গ্রামার স্কুল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও সংগঠনের উপদেষ্টা আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যাপক মাওলানা কফিল উদ্দিন এমএ জানান, ১৯৮৯ সালে পেকুয়া উপজেলার পূর্ব মেহেরনামা বহুমুখী পল্লী উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এলাকায় নানা ধরণের আত্মসামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে কাজ করে যাচ্ছেন। তারমধ্যে দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীকে মেধা নির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে বৃত্তি পরীক্ষা অন্যতম।
তিনি আরো বলেন, বিগত ১৯৯৬ সালে শিক্ষার্থীদের মেধাবী ও আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বহুমুখী পল্লী উন্নয়ন সংস্থা আয়োজনে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অত্যন্ত স্বচ্চতা ও সুচারুভাবে এ বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়ে আসছে। দিন যতো বেড়ে চলছে ততই এ বৃত্তি পরীক্ষার সুনাম দুই উপজেলার জনপদে ছড়িয়ে পড়েছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি এ বছরেও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা তাদের সন্তান নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে যে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিব মৌলানা কফিল উদ্দিন এমএ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আহমদ আলী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মৌলানা মোহাম্মদ ইলিয়াছ, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মৌলানা মোরশেদুল আলম, মাষ্টার শাহাদাত হোছাইন, মাষ্টার তৌহিদুল ইসলাম, আবু তৈয়ব ও নুরুল আবচারসহ বৃত্তি পরিচালনা কমিটির এবং সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।

পাঠকের মতামত: