হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর
ঈমান-আকিদা ও দেশ রক্ষার সংগ্রামে কারাবরণ,অসহনীয় নির্যাতন ভোগ, বুকের তাজা রক্তদান ও শাহাদত বরণের সংগ্রামী ঐতিহ্য হক্কানী ওলামায়েকেরামের রয়েছে। বালাকোটের রক্তাক্ত প্রান্তর, বৃটিশ বিরোধী আযাদী আন্দোলন, রেশমী রুমাল আন্দোলন, হাজী শরীয়তুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন, শহীদ তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার আন্দোলন, কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষণার আন্দোলন, ফতোয়া বিরোধী হাইকোটের রায় বাতিলের আন্দোলনসহ বহু ঈমানী আন্দোলন-সংগ্রাম সেই ঐতিহ্যের অম্লান স্মারক। ঈমান-আকিদা ও মহানবী স.এর শানের বিরুদ্ধে নাস্তিক-মুরতাদদের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয়ে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) এর আহবানে, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ( দা. বা.) এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ব্যানারে রাজপথে নেমে এসেছিলেন ঈমানদার জনতা। হক্কানী ওলামায়েকেরামের নেতৃত্বে শাপলা চত্বরে সমবেত সেই ঈমানদার জনতাসহ নির্মম নির্যাতন ভোগ ও শাহাদতবরণকারীগণ বরিত হবেন ঈমানী চেতনার প্রতীক হিসেবে। সেই সাথে ১৮৩১ সালের ৬ মে’র বালাকোটের মতো ২০১৩সালের ৬ মে (৫ মে দিবগাত গভীর রাত) ক্লান্ত, যিকিররত ও ঘুমন্ত মুমিন-মুসলমানের রক্তেরঞ্জিত শাপলা চত্বরও নতুন বালাকোটরূপে জাতিকে প্রেরণা যুগাবে যুগ থেকে যুগান্তরে। সেদিনের বহু শহীদানের মধ্যে রামুরও এক সাহসী সিপাহসালার সংযোজিত হয়েছেন। সেই তরুণ আলেমেদ্বীন শহীদ মাওলানা কারী মতিউর রহমান রহ. এর নামে তাঁর আপন গ্রামে রামু কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে উখিয়ারঘোনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান হেফজ ও এতিমখানা। এভাবে ঈমানী আন্দোলনে বীর শহীদানের তাজা রক্তের স্রোতধারায় ইসলামের বিজয় পতাকা এ দেশের আকাশে উড়বেই ইনশাআল্লাহ।
লেখক:সিনিয়র সহ-সভাপতি ,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ।
পাঠকের মতামত: