এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::
জেলা সদরের ঈদগাঁওতে সমস্যা গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শব্দ দূষণ। দৈনিক মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসী। বিপর্যয়ের শিকার বাসিন্দা ও প্রাণীকুল। অতিরিক্ত শব্দ দূষণের ফলে পরিবেশের বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সাধারন মানুষের উপর।
সাধারনত পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রধান উপকরণের মধ্যে রয়েছে বায়ু দূষণ, পানি দূষণ ও শব্দ দূষণ। শব্দ যখন অতিরিক্ত মাত্রায় উৎপন্ন হয় তখন সহ্য সীমার বাইরে চলে যায়। আর এটি তখন দূষণের পর্যায়ে পড়ে। তবে মাত্রাতিরিক্ত শব্দ যে কোন মানুষের দেহে মারাত্বক ক্ষতির কারণ হতে পারে যা নিরব ঘাতকের মতো। শব্দ দূষণের অন্যতম উৎস হচ্ছে ছোট বড় যানবাহনের হাইড্রোলিন হর্ন, ইটভাঙ্গার মেশিনের শব্দ এবং মাইকিংয়ের শব্দ।
সচেতন লোকজন জানান,শহরের পাশাপাশি ঈদগাঁও বাজার, বাস ষ্টেশন,এবং গ্রামাঞ্চলেও আশংকাজনক হারে বৈধ-অবৈধ মোটর সাইকেল সিএনজি,টমটম, মালবাহী গাড়ি বেড়ে যাওয়ায় এসব যান বাহনের অতিরিক্ত হর্নের সৃষ্ট শব্দ জনজীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। গাড়ীর হাইড্রোলিন হর্ণ বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনার দাবী তাদের। অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ভবন নির্মাণের যন্ত্র পাতির উচ্চ শব্দের ফলে দূর্ষিত হচ্ছে পরিবেশ। এছাড়া মিউজিক বাজানো এবং মাইক বা সাউন্ড বক্সের শব্দও দূষণ ঘটাচ্ছে। উচ্চ শব্দ দেহের বিভিন্ন ধরনের জটিলতাও সৃষ্টি হয়। শব্দ দূষণের কারণে ক্ষণস্থায়ী বা স্থায়ী উভয় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শব্দ দূষণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চালক,শিশু কিশোর,শিক্ষার্থী, অসুস্থ ব্যাক্তি, গর্ভবতী মহিলাসহ সাধারন মানুষ।
এমন চিত্র প্রতিনিয়ত চোখে পড়ছে জেলা সদরের ঈদগাঁও বাজার, বাসষ্টেশন এলাকায়। এর থেকে কবে পরিত্রাণ পাবে লোকজন এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে সাধারন মানুষদের মাঝে।
সচেতন ব্যক্তি মাহবুব আলমসহ অনেকের মতে, বৃহত্তর ঈদগাঁওতে বিভিন্ন যানবাহনে হাইড্রোলিন হর্ণ চরমভাবে শব্দ দূষন ঘটাচ্ছে। বিহীন ব্যবস্থার জোরদাবী।
পাঠকের মতামত: