মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামায় ১০ টাকা কেজি সুলভ মূল্যের চাল বিতরণের নানান অনিয়ম নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেছে লামা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র ৬জন। অপরদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অবহেলায় সেপ্টেম্বর মাসের সরই, লামা, রুপসীপাড়া ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের মধ্য থেকে ১৪২২ জনের ৩৪.৭৪০ মেট্রিক টন চাল ফেরত গিয়েছে বলে জানান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিলন কান্তি চাকমা। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলনের সময় ওজনে কম দেয়ারও অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগকৃত ডিলারগণ।
সরই, লামা, রুপসীপাড়া ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দূর্গমে অবস্থিত এলাকাগুলোর তালিকাভুক্ত হতদরিদ্রের চাল সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বারগণ দূর্গমের দোহাই দিয়ে ডিলারদের নিকট থেকে এককভাবে গ্রহণ করার অভিযোগ তুলেছে উপকারভোগীরা। হতদরিদ্রদের নামে ইস্যুকৃত কার্ডে সাদাকালি দিয়ে মুছে নতুন নাম লিখে চাল বিতরণের করার অভিযোগও করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু’র নিকট। অভিযোগকে কেন্দ্র করে লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন এর নিকট হতে সাদাকালি দিয়ে ঘসামাজা করা ৩০/৩৫টি কার্ড জব্দ করেছেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, লামা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল করিম ডিলারদের চাল সরবরাহে বস্তা সহ পরিমাপ করে দেয়ায় ডিলারগণ ঘাটতির সম্মুখিন হচ্ছে। ফাইতং ইউনিয়নের ডিলারের সহযোগী মো. ইদ্রিস জানিয়েছেন, আজিজনগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন বড়–য়া গুদাম হতে অক্টোবর মাসের চাল সরবরাহের সময় ২শত কেজি কম দিয়েছেন। খাদ্য গুদাম হতে ওজনে কম দেয়ার প্রভাব হতদরিদ্রদের উপর পড়ছে। সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, মেম্বারগণ আইডি কার্ড এবং ছবি যথাসময়ে না দেয়ায় সেপ্টেম্বর মাসের চাল ফেরত গিয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিলন কান্তি চাকমা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বস্তার ওজন ছাড়াই ডিলারদের সঠিক পরিমাপের মাধ্যমে চাল সরবরাহ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু জানিয়েছেন, অভিযোগ গুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: