ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লামায় জেএসসি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষকের অভিযোগ

4লামা প্রতিনিধি :

বান্দরবানের লামা উপজেলায় জে.এস.সি পরীক্ষা কেন্দ্রের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক পরীক্ষার হলে স্মার্ট ফোন ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট নির্ধারিত সম্মানির অতিরিক্ত অর্থ দাবি, কক্ষ পরিদর্শক, হল সুপার ও দায়িতরত শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়ে গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব বিশ্ব নাথ দেব’সহ পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ২৩ শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লামা উপজেলার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্ব নাথ দেব কর্তৃক অভিযোগে জানা যায়, জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র লামা-০৫ কোডনং-৪১২ এ নিযুক্ত অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো: আমিনুল হক পরীক্ষা চলাকালীণ সময় কেন্দ্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। তিনি স্মার্ট ফোনে শিক্ষার্থীদের ছবি ধারণ করার কারণে পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে ছাত্রদের মনোযোগ বিঘিœত হচ্ছে। এ কর্মকর্তার এসব বিধি পরিপন্থি র্কমকান্ড বন্ধ রাখার অনুরোধ করলে, তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তার অনেক আত্মীয় আছে বলে অহেতুক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। এসবের কারণে সে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করেছেন। একই অভিযোগ এনে কর্তৃপক্ষ বরাবর জেএসসি ও জেডএসসি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ২৩ জন শিক্ষক স্বাক্ষতি আরেকটি আবেদনপত্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল হককে পরিবর্তনের দাবী জানানো হয়। এ আবেদনে অভিযোগ করা হয়, একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার যে গুণাবলি থাকার কথা, তার সেসব যোগ্যতা নেই। সচিব, সহকারী সচিব, হল সুপার, কক্ষ পরিদর্শকগন ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক এ ধরণের বিধি বর্হিভুত আচরণ দেখিনি বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তারা।

এ ব্যপারে পরীক্ষায় নিযুক্ত অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, গজালিয়া উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ দেব পরীক্ষার নিয়ম কানুন মানেনা, এরজন্য আমি পরীক্ষা ক›েট্টালারের নিকট অভিযোগ করেছি। তিনি আরো জানায় “আমাকে মিসগাইড করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে, তারা এসব অভিযোগ করেন” ”আমি সোয়া নয়টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়ে, শেষে দুইটায় ফিরে যাই”। ‘আমি নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করে চলছি’ কে পরীক্ষা পরিদর্শক, কে সচিব কাউকে আমি চিনি না’ এছাড়া স্মার্ট ফোন ব্যবহারে আমি সচেতন থাকি, সূতরাং পরীক্ষায় অনিয়ম করতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।

পাঠকের মতামত: