মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পুলু খাল, হরি খাল ও ডলু খালের কমপক্ষে ২৫টি পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে সেলু মেশিন দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। এতে করে খালের দু’পাড় ভেঙ্গে নষ্ট হচ্ছে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, পাহাড় ও বসতবাড়ি। পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা ও সরই এলাকার সরকার দলীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন এই পরিবেশ ধ্বংসের সাথে জড়িত বলে জানায় স্থানীয়রা।
কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলনের বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, লামা উপজেলার কোথাও বালু মহালের পারমিট নেই। বিশাল এই বালু সন্ত্রাসের বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। অবৈধ বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করা হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সরই ইউনিয়নের পুলু, ডলু ও আন্দারী খালের প্রায় ২৫টির অধিক স্থান থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলা ও স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক ইদ্রিস কোম্পানী, ইসলাম কোম্পানী, শরিফ মাঝি, ছৈয়দ নুর, ফারুক ড্রাইভার, নওশাদ মিয়া, মোঃ রুবেল এই বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত। তাদের পরোক্ষ সহায়তা করছে স্থানীয় প্রশাসন। ব্যাপক বালু তোলার কারণে এলাকার অর্ধশত ব্রিজ, কালভার্ট ও কয়েকটি রাস্তাঘাট বিলীনের পথে। বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাবান হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সরই ইউনিয়নের ধুমচা বিল, পুলাং পাড়া, কেয়াবন্যা, হাসনা ভিটা, কিল্লাছডা, ডলুছড়ি বাজার পাড়া, ঝটকি বনিয়া পাড়া, আমতলী মুসলিম পাড়া, কিল্লাখোলা সহ অসংখ্য স্থান থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হরিখালটির মৃত্যু হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ৬ মাস খালটিতে পানি থাকেনা।
বালি উত্তোলনে প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা জানতে মুঠোফোনে কথা হয় বালি ব্যবসায়ী ইদ্রিস কোম্পানী ও ইসলাম কোম্পানীর সাথে। তারা জানায়, কোন প্রকাশ বালু তোলার অনুমতি নেই। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে বালু উত্তোলন। সবাই ম্যানেজ, নিউজ করে লাভ নেই।
সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম সাক্ষাতে দেখা হলে জানান, বালু ব্যবসায়ীরা আমাদের নিষেধ শুনেনা।
সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ-উল আলম বলেন, বালু তোলা ও পরিবহনের কারণে সরকারের কয়েক কোটি রাস্তাঘাট ও ব্রিজ কালভার্ট ধ্বংস হেয়ে গেছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।
প্রকাশ:
২০১৭-০৬-২৯ ১৩:০১:০৭
আপডেট:২০১৭-০৬-২৯ ১৩:০১:০৭
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
পাঠকের মতামত: