ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

লাখ টাকা দিয়ে ভোটার হয়েছি !

মাহাবুবুর রহমান :: মিয়ানমার থেকে আসার পরে কিছুদিন কক্সবাজার শহরে থেকে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে ভিন্ন জায়গা থেকে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশগমন। পরে ফিরে এসে লাখ টাকা দিলে ভোটার আইডি কার্ড করে সেই সুবাধে রোহিঙ্গা স্ত্রী ছেলে মেয়ে সহ সবাই পেয়েছে এখন বাংলাদেশী ভোটার আইডি। বর্তমানে মাছের ব্যবসার আড়ালে চালাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। সেই সুবাধে কোটিপতি এখন রোহিঙ্গা কামাল হোসেনের পরিবার। এদিকে কামাল হোসেনের স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, লাখ টাকা দিয়ে ভোটার হয়েছে। এত কথা বলে লাভ নাই।

গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজার পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের জিয়ানগর এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে,কামাল হোসেন ভোটার আইডি নং ৮৭০৮২০৩৩১৩ পিতা আবুল কাশেম মাতা আম্বিয়া খাতুন। থাকেন জিয়ানগর এলাকায়। এক সময় বিদেশ থাকলেও কর্মজীবনে তেমন কোন উন্নতী করতে না পারলে বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসার কল্যাণে করেছেন আলিশান বাড়ি আর ব্যাংক বেলেন্স আছে বিপুল টাকার। তার স্ত্রী প্রকৃত রোহিঙ্গা নারী আসমা বেগম (ভোটার আইডি নং ৪১৭৭২১৩৮২৬ পিতা মোহাম্মদ ইউচুপ কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে শাশুড়ির নামের সাথে মিল আছে তার মায়ের নামে অর্থাৎ আসমা বেগমের মায়ের নামও আম্বিয়া খাতুন। ছেলে হাবিব উল্লাহ ( ভোটার আইডি নং ৯১৬৫১৬৪২৭৯) পিতা কামাল হোসেন মাতা আসমা বেগম। এলাকার মানুষের দেওয়া তথ্য মতে এরা পুরু পরিবার রোহিঙ্গা তবে বর্তমানে বেশি পরিচিতি পেয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ি হিসাবে। কামাল হোসেনের বাড়িতে প্রায় সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আসা বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গা। তারা আসে গভীর রাতে হাতে থাকে অসংখ্য পলিথিন। চলেও যায় রাতে। এছাড়া ঢাকা থেকে অনেক লোক আসে এলাকার মানুষ তাদের পরিচয় জানতে চায়লে বলে আমাদের পূর্ব পরিচিত তাই বেড়াতে এসেছে। কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে আসা এক ইয়াবা ব্যবসায়িকে ধরে মারধরও করেছিল এলাকার মানুষ। মূলত তাদের বাসা থেকে প্রতিনিয়ত পাচার হয় ইয়াবার বড় চালান। ফলে মাছের ব্যবসার নামে পুরুদস্ত ইয়াবা ব্যবসায়ি কামাল হোসেন এবং তার ছেলে হাবিব উল্লাহর কারনে পুরু এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে সরজমিনে কামাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান,বার্মা থেকে এসেছে অনেক আগে,তার স্বামীর পাসপোর্ট ছিল তাই ভোটার হয়েছে তবে বেশ খরচ হয়েছে। স্থানীয় অনেকে সেই টাকা নিয়েছে যাদের নামও প্রতিবেদকের হাতে আছে। পরে আমি এবং ছেলে ভোটার হতেও টাকা নিয়েছে। বর্তমানে তার ছেলে হাবিব উল্লাহ ব্যবসা করে,আরেক ছেলে সাইফ মোহাম্মদ বায়তুশ শরজ জব্বারিয়া একাডেমীকে ৮ম শ্রেণীতে পড়ে,মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বাস টার্মিনাল বালিকা মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনীতে পড়ে,ছেলে এমরান পাহাড়তলী রহমানিয়া মাদ্রাসায় পড়ে,আরেক ছেলে ওমর ফারুকের বয়স ৫ বছর। আসমা বেগম জানান,আমরা ইয়াবা ব্যবসা করিনা এলাকার মানুষ শত্রুতা করছে। আর আমাদের মত বার্মাই ধরতে হলে পাহাড়তলী থেকে ৫ হাজার বার্মাই ধরতে হবে। এদিকে এলাকার মানুষের দেওয়া তাৎক্ষনিক তথ্য মতে শুধু জিয়ানগরেই রোহিঙ্গা হয়েও আইডি কার্ড পেয়েছে অনেক রোহিঙ্গা তার মধ্যে অন্যতম হাবিবুর রহমান মাঝি পিতা মৃত হোসন আহামদ ( আইডি নং ৭৩৫৮১৭৭৮৬৮) ছলিমা খাতুন পিতা নুরুল ইসলাম (আইডি নং ৫৯৫১১৮৮৪৯৮) ইলিয়াছ পিতা সোনা মিয়া মাতা হোসন বানু (আইডিনং ৩২৭৮৮০৩৮৮) ফাতেমা আক্তার পিতা রশিদ আহামদ মাতা মুবিনা বেগম (আইডিনং ৬৯১৫০৭৭৯৬৭) কাউছারআক্তার পিতা রশিদ আহামদ মাতা মুবিনা বেগম (আইডিনং ৩৭৬৪৯২৬৬৩৪) মিনা আক্তার পিতা মৃত আবুল হোসেন মাতা ফাতেমা খাতুন (আইডিনং ৫০০৯২৫১৭৩৪) এরা সহ আরো অনেক রোহিঙ্গা স্থায়ী ভাবে বসাবাস করছে। এ ব্যপারে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির উপদেস্টা এপিপি এড,তাপস রক্ষিত বলেন,আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের তথ্য সংগ্রহ করছি। এর আগে সরকারি ভাবেও রোহিঙ্গাদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে আমরা চাইবো জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়া সকল রোহিঙ্গার নাগরিক্ত বাতিল করা হোক। একই সাথে যে সমস্ত রোহিঙ্গার ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করছে তাদের সার্টিফিকেটে নামের পাশে রোহিঙ্গা শব্ধটি লেখা থাকুক যাতে তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে না পারে।

পাঠকের মতামত: