এম.এ আজিজ রাসেল ::
কঠোর লকডাউনের নবম দিনে বেড়েছে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় ১৮৪ জনকে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় মামলা করা হয়েছে ১৭১টি। শুক্রবার (০৯ জুলাই) জেলার ৮ উপজেলায় পৃথক ৩২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার কাজী মাহমুদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
দন্ডিত ব্যক্তির মধ্যে কক্সবাজার পৌর এলাকায় ৭৫ জন, সদর ০৮ জন, চকরিয়ায় ১৩ জন, পেকুয়ায় ০৯ জন, কুতুবদিয়ায় ১৯ জন, মহেশখালী ১০ জন, রামু ০৬ জন, উখিয়া ১৫ জন ও টেকনাফ ২৯ জন।
তিনি জানান, লকডাউনে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ মানাতে জেলাজুড়ে দিনভর চেকপোস্ট, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও টহল পরিচালনা করা হয়। এসময় বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার সকাল থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলাজুড়ে কঠোর অবস্থানে ছিল জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট, সেনাবাহিনী, নৌ—বাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। সড়কে বিজিবি, সেনা সদস্যদের ও পুলিশী তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে নবম দিনে বেড়েছে যান ও জন চলাচল। তারমধ্যে রিকসা, সিএনজি ও মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী গাড়ি ছিল বেশি। এসব গাড়ি চলেছে প্রমাণপত্র দেখিয়ে। জরুরি সেবার সাথে জড়িতরা সুনির্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেখিয়ে পার পেয়েছে। যারা প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি তাদের উল্টো ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বের হয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। জরিমানা গুণতে হয়েছে অনেককে। জরুরী কাজে বের হয়েও যারা মাস্ক পরেনি তাদের কঠোরভাবে সতর্ক করেছে প্রশাসন। শহরের ভেতরের প্রায় দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। বিধিনিষেধ মেনে উন্মুক্ত রাখা হয় খাবার প্রতিষ্ঠান।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ আমরা চেষ্টা করছি জনসাধারণকে সচেতন করতে। ধর্য্য ধরে আর কিছুদিন ঘরে থাকুন। এতে সবার জন্য নিরাপদ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় লকডাউন বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
পাঠকের মতামত: