ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পলোগ্রাউন্ডে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল

র‌্যাবকে নয়, নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে হাসিনা সরকারকে: চট্টগ্রামে ফখরুল ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, একটা প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমি বলি এটি দিয়ে হবে না, নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে শেখ হাসিনা সরকারকে। আর চট্টগ্রামে শুরু হওয়া আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে পতন হবে সরকারের।

বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত গণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনি মানুষকে বলেছেন কম খান। কম বিদ্যুৎ জ্বালান। সামনে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তাহলে আপনি আছেন কেন। আমি আগেই বলেছি সেইফ এক্সিট করেন। নিরাপদে চলে যান। তা না হলে পালাবার পথটাও খুঁজে পাবেন না। এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। তাই সবকিছু লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। দেশের মানুষ গরিব হয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ১০ টাকার চাল এখন ৭০ টাকা। চালসহ নিত্যপণ্যের দাম তিন থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে। সামনে বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হবে। পেট্রোল, গ্যাস, পানির দামও বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ার কারণে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে কানাডার বেগমপাড়া ও লন্ডনে বাড়ি করছে তারা। আর আমার দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যায়। খুব বড় বড় কথা বলে। কিন্তু দেশের শতকরা ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে।

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার ডিসি-এসপিদের বলছে নির্বাচন ঠিক করে করবেন। ডিসি এসপিরা বলছে, আপনার কথা আমরা মানি না। আমরা শুধু শেখ হাসিনার কথা মানি। তাদের দিয়ে আপনি নির্বাচন করবেন। এই দেশের মানুষ নির্বাচন হতে দেবে না। এখানে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। তাই আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, সেই কারণে আন্দোলন শুরু করেছি। সরকার হবে সব দলগুলো সঙ্গে নিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট। সব দল বলতে যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তাদের নিয়ে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্ব ও সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনর রশীদ, সহ-গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন ও হুম্মাম কাদের চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

 

পাঠকের মতামত: