উখিয়া সংবাদদাতা :: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে সেনাবাহিনী কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করেছে। এতে খুশি হয়েছে রোহিঙ্গারা। আর অনেকে বলতে দেখা গেছে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ফলে ক্যাম্পে অনেকাংশে কমে আসবে অপরাধ।
আজ দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য দেখা গেছে সেনা সদস্যদের। ওই শিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক আহমদ (৬৭) বলেন, ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করায় নিরাপত্তা জোরদার হবে। ক্যাম্পে কিছু খারাপ লোক ঢুকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। কাঁটাতারের বেড়া দিলে আগের মতো লোকজন চলাচল করতে পারবে না। এই উদ্যোগ আরও আগে নেয়া প্রয়োজন ছিল। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা বলেন, কিছু অসৎ মানুষ রয়েছে, তারা এই কাঁটাতারের বেড়া হওয়ায় নাখোশ। কেননা তারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এই বেড়া বসলে হয়তো আগের মতো তারা কাজ করতে পারবে না। তবে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা এই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে খুশি হয়েছে।
ক্যাম্পে দায়িত্বরত এক এনজিও কর্মকর্তা বলেন, কাঁটাতারের বেড়া পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া এই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ফলে ক্যাম্পে অনেক অপরাধ রোধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি৷
উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিন চকরিয়া নিউজকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, অপহরণ, মাদক ও মানবপাচারের ঘটনা অনেক পুরনো। এসব ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল। এখন ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুরু করেছে। এটা স্থানীয়দের মতো রোহিঙ্গাদের জন্য ভালো হবে। এটা সবার জন্য নিরাপদ হবে।
তবে ক্যাম্পের অভ্যান্তরে বসবাসরত স্থানীয় লোকজন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার কারনে আমাদের স্বাভাবিক চলাচলের উপর বাধা সৃষ্টি হতে পারে। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প প্রশাসন জানান, এ নিয়ে কোন ধরনের উদ্বেগ প্রকাশের কারণ নেই স্থানীয় লোকজনকে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে আসা-যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে৷
পাঠকের মতামত: