ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম

অনলাইন ডেস্ক ::  অবকাঠামোগত সমস্যা এবং বিদ্যুৎ না থাকায় রাতের বেলা রোহিঙ্গা ক্যাম্প অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে কিছু রোহিঙ্গা চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, মিয়ানমার দ্রুত ফিরিয়ে না নিলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিকার হতে পারে রোহিঙ্গারা। যা শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের জন্য হুমকি।

মিয়ানমারের নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পর ৭ লাখ ৪১ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আগের প্রায়ে ২ লাখ রোহিঙ্গার সাথে তাদের ঠাঁই হয়েছে কক্সবাজোরের ২৯টি ক্যাম্পে।

নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর কেউ কেউ পড়িয়ে পড়ছেন অপরাধে। গত ২১ মাসে আশ্রয় শিবিরে খুন হয়েছেন ৩১ জন। অপহরণ, চাঁদাবাজি, চোরাচালানসহ ধর্ষণ ও ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে ৩২৮টি।

দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও রাতে রোহিঙ্গা শিবির অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে পাহাড়ে কিংবা মিয়ানমারে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

এমন অবস্থায় ক্যাম্পের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুতায়ন, সিসি ক্যামেরা এবং কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার সুপারি করেছে পুলিশ। ঘটনা বুঝতে পেরে ২৮ ঘন্টা পুলিশ মোতায়েন, রাতে যৌথ বাহিনীর টহল, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরে যাবার মাধ্যমেই সমাধান হবে মূল সমস্যার।  সুত্র : চ্যানেল২৪.

পাঠকের মতামত: