মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেই রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচর পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বুধবার বিকালে কক্সবাজারের নাইক্ষ্যংছড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।
এর আগে টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তায় থাকা আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারস্থল মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষকে ভালবাসেন, মানবতাকে সম্মান করেন। তাই বনসম্পদ ধ্বংস এবং পরিবেশ ও আইনশৃংখলা বিনষ্ট করছে জেনেও মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চেষ্টা করা হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিজ দেশে তাদের ফিরিয়ে দেয়ার। মানবিকতা ও শৃংখলা বজায় রাখতেই রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেই তাদের সেখানে পাঠানো হবে।
এসময় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ, আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. মঈন উদ্দিন, উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়েরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
লুণ্ঠিত সব অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
র্যাব সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র লুটের ঘটনার মূল হুতা রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাকে নিয়েই র্যাব সদস্যরা অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে। বুধবার সকালে বাকি ৬টি অস্ত্র (এসএমজি এবং রাইফেল) উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। অস্ত্র লুটের মূল নায়ক নুরুল আলম মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু থানার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৩ মে ভোর রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মুচনী এলাকার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলা চালায় এক দল দুর্বৃত্ত।
এতে নিহত হন আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আলী হোসেন। লুট করা হয় ১১টি বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি।
পাঠকের মতামত: