চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: রোহিঙ্গাদের ভোটার করার মামলায় নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পের অস্থায়ী (আউটসোর্সিং) কর্মচারী মোস্তফা ফারুকের বাসা থেকে দুইটি ল্যাপটপ, মডেম, পেনড্রাইভ, আইডি কার্ডের লেমিনেটিং সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরের দামপাড়ায় সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনে কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় মোস্তফা ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার হামজারবাগের বাসা থেকে দুইটি ল্যাপটপ, ১টি মডেম, ১টি পেনড্রাইভ, ৩টি সিগন্যাচার প্যাড, আইডি কার্ডের লেমিনেটিং সরঞ্জাম ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানান, ২০১৪ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পে অস্থায়ী চাকরি করতেন। কমিশনের বিভিন্ন অফিসে তার ‘এক্সেস’ ছিল। ক্যাম্প থেকে কয়েকটা ধাপে রোহিঙ্গাদের আনা হতো। কমিশনের ক্লারিক্যাল লেবেলের অস্থায়ীদেরকে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার কাজে ব্যবহার করা হতো।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রকল্পে কাজ করে মোস্তফা ফারুক। ফেনীর দমদমা লস্কর হাটে তার বাড়ি।
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফারুকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডেল মডেলের ল্যাপটপটি নির্বাচন কমিশনের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট শনাক্ত করেছেন, যা নির্বাচন কমিশনের ল্যাপটপ। তবে ল্যাপটপের তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। অপরাধীরা তথ্য মুছে ফেলে যাতে ধরা না পড়ে। আমরা পেনড্রাইভে রোহিঙ্গাদের অনেক তথ্য পেয়েছি। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ মামলায় তিন আসামিকে রিমান্ডে আনা হলে তাদের সূত্রে ফারুকের নাম আসে। ফারুককে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজমের উপ পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে কাজ করছি আমরা।
পাঠকের মতামত: