অনলাইন ডেস্ক :: সংক্রমণের মাত্রা অনুসারে রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সরকারি নির্দেশাবলী যথাযথভাবে নিশ্চিতের উদ্দেশে সেনা টহল জোরদার করতে নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে সংক্রমণের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের ৪৫টি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
এর আগে শুরুতে রেড এবং ইয়োলো দুটো জোনেই ছুটি থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলো সরকার। কিন্তু সেটা পরিবর্তন করে এখন কেবল সরকার ঘোষিত রেড জোনই সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শুরুতে সাধারণ ছুটির ব্যাপারে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তার পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন কেবল রেড জোনে সাধারণ ছুটি থাকবে। কারণ সংক্রমণের হার বিবেচনায় রেড জোনভুক্ত অনেক এলাকাকে লকডাউন করা হবে। তাই বাধ্য হয়েই সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে এলাকায় যেদিন থেকে রেড জোন ও লকডাউন ঘোষণা করা হবে সেই এলাকায় ওইদিন থেকে সাধারণ ছুটি কার্যকর হবে। এটা পর্যায়ক্রমে হবে।
ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়বে।
ইতোমধ্যে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার পরীক্ষামূলক রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। সে এলাকা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।
টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয় এবং গণপরিবহন চালু হয় ১ জুন থেকে।
রোগীর সংখ্যা বাড়ার ফলে অর্থনীতি বাঁচাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সোমবার (১৫ জুন) সব সেক্টরের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
পাঠকের মতামত: