ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

রিকশা চালায় আমাদের ছেলেপেলে, বলেই কাঁদলেন ফখরুল

 01বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর অভিযোগ করেছেন, দেশে কোনো গুম খুন কিংবা হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হচ্ছে না। বরং তদন্তের আগেই বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে অভিযুক্তদের মেরে ফেলা হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সরকারের স্বার্থ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খবর এনটিভিবিডি

আজ মঙ্গলবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণসহ ৩০টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রতিবাদ জানাতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) এ সভার আয়োজন করে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে এখন একনায়কের স্বৈরশাসন চলছে, বিরোধী মতকে দমন করতে রাতের আঁধারে সাদা পোশাকধারীরা ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে মানুষ। প্রতিনিয়ত খালি হচ্ছে মায়ের বুক, কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না সুবিচার। একপর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিন ক্রসফায়ার, একটা, দুটা, তিনটা, চারটা চলছে। যতজনকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, একটা লোক বেঁচে আছে? সবাইকে আপনার ক্রসফায়ার, গান ব্যাটলের অদ্ভুত সব গল্প, অলীক গল্প তৈরি করে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে। সিগন্যালে থামে গাড়ি, হকার ছেলেপেলে, ইয়াং ছেলেপেলে সব আসে, এতে দিতে গিয়েই দেখে বলে যে, স্যার, আমি বিএনপি করতাম লক্ষ্মীপুরে। এত মামলা, পালিয়ে চলে এসেছি, এখন হকারি করছি। রিকশা চালায় আমাদের ছেলেপেলে।’

এই পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা আছি। গুম করে দেয়, খুঁজে পাওয়া যায় না। বাচ্চাগুলো এখানে দাঁড়িয়ে (ডেইস) বলল আপনাদের সামনেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত। দেখতে দেখতে আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি। বলে যে, বাবার সঙ্গে ঈদ করতে চায়। সেই দেশ এখন। এর জন্য যুদ্ধ করেছিলাম?’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘রামপালে পাওয়া প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য যারা প্রতিবাদ করছেন, আনু মুহাম্মদের মতো একজন পণ্ডিত মানুষকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে মারতেও কুণ্ঠা বোধ করে না। কারণ সেখানে তাদের স্বার্থের ব্যাপার আছে সেটা তারা করবে।’

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে জনগণের ওপর চেপে বসেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশের স্বার্থ বিসর্জনেও কুণ্ঠা বোধ করে না।

দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

পাঠকের মতামত: