নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরণ্য রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় গণপরিষদের সাবেক সদস্য এডভোকেট জহিরুল ইসলাম’কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরবিদায় জানানো হয়েছে। ১৯মে মঙ্গলবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স মাঠে জুহুরের নামাজের পর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন ও পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এডভোকেট জহিরুল ইসলামের কফিনকে লাল সবুজের পতাকায় ঢেকে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তার আগে মরহুম এডভোকেট জহিরুল ইসলামের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের উপর আলোকপাত করে কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার), কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে.কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এ.এম সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আজম মঈন উদ্দিন, মরহুমের জ্যেষ্ঠ সন্তান বিশিষ্ট ব্যাংকার জাহেদুল ইসলাম ও দ্বিতীয় সন্তান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ রাশেদুল ইসলাম।
এরপর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, জেলা আইনজীবী সমিতি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ, কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে এডভোকেট জহিরুল ইসলাম এর কফিনে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে লকডাউন (Lockdown) এর কারণে সম্পূর্ণ সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ শফি’র ইমামতিতে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজা শেষে মরহুম এডভোকেট জহিরুল ইসলাম এর বাসভবনের একটু পূর্বে বইল্ল্যা পাড়া কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট জহিরুল ইসলাম (৮৫) গত সোমবার ১৮মে বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামের সিএইচসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালল্লিহি .. রাজিউন)। পরে তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির তাঁর জ্যৈষ্ঠ সন্তান বিশিষ্ট ব্যাংকার জাহেদুল ইসলামের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রামে মরহুম এডভোকেট জহিরুল ইসলামের প্রথম নামাজে সোমবার ১৮মে মাগরিবের নামাজের পর চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার শহরের বায়তুশ শরফ সড়কের বাসিন্দা এডভোকেট জহিরুল ইসলামের আদিনিবাস চকরিয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে। মৃত্যুকালে ৩পুত্র, ৩কন্যা, স্ত্রী সহ অনেক গুণগ্রাহী, অনুসারী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে যান তিনি।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী এডভোকেট জহিরুল ইসলাম গণপরিষদের সদস্য, কক্সবাজার মহকুমার গর্ভনর, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সফল সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং গণফোরাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ছিলেন। কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বও দীর্ঘদিন পালন করছেন সফলতার সাতে তিনি।
পাঠকের মতামত: