রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের শ্রীমুরা এলাকায় বসত বাড়িতে আবারো দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল বিপুল টাকা ও স্বর্ণের অংলকারসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাত তিনটায় উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের শ্রীমুরা এলাকার মরহুম আলহাজ্ব মৌলানা মো. শফির ছেলে রুহুল কাদেরের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের মারধরের পরিবারের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
গৃহকর্তা রুহুল কাদের জানিয়েছেন, ১৫/২০ জন মুখোশ পরিহিত সংঘবদ্ধ ডাকাতদল রান্নাঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে এবং বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে আসববাপত্র তছনচ করে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণের অলংকার, একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট, একটি ক্যামেরা, বিপুল পরিমান কাপড় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। ডাকাতি চলাকালে ডাকাতরা গৃহকর্তার চাচা মাষ্টার আবুল কাশেম ও ভাবি মুর্শিদা সুলতানাকে মারধর করে।
ডাকাতির পর ভোর চারটায় রামু থানার এসআই হাবিবের নেতৃত্বে টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। এছাড়া সকালে রামু রামু থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান ডাকাতিস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।
গৃহকর্তা রুহুল কাদের আরো জানিয়েছেন, ডাকাতির এ ঘটনায় তিনি রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ ওই অভিযোগ না নিয়ে অপরাধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার মৌখিক আশ্বাস দেন। এ নিয়ে তিনি (গৃহকর্তা) বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দেবেন বলে জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, এ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে এ গ্রামে ৪টি বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অথচ পুলিশ এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারনে নির্বিঘেœ একের পর এক ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। একারনে এলাকাবাসী বর্তমানে ডাকাত আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
উল্লেখ্য গত ২ এপ্রিল রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের শ্রীমুরা নাসিরাপাড়া এলাকার হাজ্বী আবদুল মতলব এর বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ডাকাতদল গৃহকর্তা ও দশম শ্রণি পড়–য়া এক ছাত্রীকে মারধর করে ৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
এছাড়াও ১ এপ্রিল চাকমারকুল ইউনিয়নের কলঘর বাজারে একই রাকে পাঁচটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোরের দল এসব দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থ সহ ২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
অব্যাহত ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় জনমনে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
পাঠকের মতামত: