ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রামুতে ঝূপড়ি ঘর বেঁধে রাতের আঁধারে সরকারি জমি দখল

সোয়েব সাঈদ ::
রামুর জোয়ারিয়ানালায় রাতের আঁধারে খাস জমি জবর-দখলে মেতে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। জবর-দখলের পর এসব জমি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এভাবে সরকারি জমি দখল বাণিজ্যের মাধ্যমে ভূমিদস্যুরা বিপুল টাকার মালিক হলেও হতদরিদ্র লোকজন সরকারি ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বৃহষ্পতিবার (১১ মার্চ) জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নন্দাখালী বড়পাড়া এলাকায় সরেজমিন গিয়ে জমি দখলের ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। ওই এলাকায় সড়কের পাশর্^বর্তী একটি জমি লোকজন নিয়ে জবর-দখল করে নিয়েছে এক প্রবাসীর স্ত্রী। জমিটি জবর-দখলের উদ্দেশ্যে ওইদিন ভোরে নির্মাণ করা হয়েছে টিনের বেড়া ও প্লাষ্টিকের ছাউনী দেয়া ঘর।
জবর-দখলকারি প্রবাসী ফজল করিমের স্ত্রী নুর জাহান বেগম জানান- তিনি অনেক কৌশলে এখানে ঘর নির্মাণ করেছেন। জমির কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। তবে তিনি নিজেকে প্রভাবশালী পরিচয় দিয়ে বলেন-কেউ তাকে এ জমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে না।
জমি দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় নুরুল হুদা নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের সঠিত তথ্য তুলে ধরেন। এরই জের ধরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই নুরুল হুদা নামের ওই ব্যক্তিকে মারধর করেন, জবরদখলকারি নুর জাহান বেগমের ছেলে ফয়সাল।
জানা গেছে, কেবল নুর জাহান নয়, এভাবে আরো অনেকে এখানে খাস জমি জবর-দখলে মেতে উঠেছে। মহাসড়ক ও রেল লাইনের পাশর্^বর্তী হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে এখানে জমির মূল্য অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেছে। ফলে ভূমিগ্রাসীরা সরকারি খাস জমি জবর-দখলের মহোৎসব শুরু করেছে।
সরকারি জমি জবর-দখলের খবর পেয়ে বৃহষ্পতিবার রাতে ওই এলাকায় যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা। তিনি জানিয়েছেন-খাস জমি জবর-দখলকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জবর-দখলকৃত সরকারি জমি উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। তিনি আরো জানান-ওই এলাকায় প্রধামন্ত্রীর মহৎ উদ্যোগের অংশ হিসেবে হতদরিদ্র, ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা বদিউজ্জামান মেম্বার ও নুরুল আজিম মেম্বার জানিয়েছেন সরকারি জমি দখলের পাশপাশি এখানে হতদরিদ্র লোকজনের জমিও জবর-দখল করা হচ্ছে। জবর-দখলকারিরা প্রভাবশালী হওয়ায় লোকজন ভূমিদস্যুতার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এ জন্য এখানকার সরকারি মূল্যবান জমি উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

পাঠকের মতামত: