নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অন্তত ৮০ শতাংশ এলাকা বানের পানিতে ভাসছে। এই অবস্থায় গত দুইদিন ধরে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে পরিবার সদস্যদের নিয়ে।
করোনাকালীন এই পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি বানভাসি মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে থাকা বানভাসি প্রায় ২০ হাজার মানুষের মাঝে তিনি গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত রান্না করা বিরিয়ানী ও চিড়া, মুড়ি, গুঁড়সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার বিতরণ করছেন। যাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো কোনভাবেই অভুক্ত না থাকেন।
এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী জানান, গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে প্রতিনিয়ত দাঁড়াচ্ছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম মহোদয়। তিনি গত বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চকরিয়ার বন্যাকবলিত ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সরজমিন বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন এবং পানিবন্দি মানুষের সহায়তায় তাৎক্ষণিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী আরো জানান, গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এমপির ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে রান্না করা বিরিয়ানী ও শুকনো খাবার হিসেবে চিড়া, মুড়ি, গুঁড়, খেঁজুরসহ বিভিন্ন পন্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী এমপি মহোদয়ের মানবিক এই তৎপরতা সর্বদা অব্যাহতভাবে চলবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ‘এবারের বন্যায় যাতে কোন মানুষ অভুক্ত না থাকেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সরকারিভাবে। এছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে বুধবার রাত থেকে অদ্যাবদি প্রায় ২০ হাজার পরিবারে রান্না করা এবং শুকনো খাবার পৌঁছে দিচ্ছি বন্যার্তদের কাছে। আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহতভাবে চলবে।’ ##
পাঠকের মতামত: