ঢাকা,মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

রমজান আসন্ন : বাড়ছে নিত্যপণ্যের মূল্য

সৈয়দুল কাদের, কক্সবাজার ::
রমজান মাসকে সামনে রেখে বাড়ছে নিত্য পণ্যের মূল্য। এছাড়াও বাড়তে শুরু করেছে চালের মূল্য। তবে পাইকারি ব্যবসায়িরা জানান, মূল্য কেন বাড়ছে তা জানেন না ব্যবসায়িরা। অবিলম্বে বাজার তদারক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে রমজান মাসে বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
বাড়তে শুরু করেছে নিত্য পণ্যের মূল্য। চনা, মুসর ডাল, গুড়া দুধ, আদা, রসুন ও চালের মূল্য। গতকাল শহরের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় আদা প্রতিকেজিতে বেড়ে ১২ টাকা, রসুন প্রতিকেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা দরে, মুসর ডাল প্রতিকেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা করে, চনা প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৬ টাকা, গুড়া দুধের মূল্য। বেড়েছে প্রতিকেজিতে ৪০ টাকা, স্টারশীপ দুধের মূল্য। বেড়েছে কার্টুন প্রতি ১৫০ টাকা দরে। এ ছাড়া কোন  কারণ ছাড়াই চালের মূল্য বেড়েছে। মিনিকেট ২৮ এর বস্তা (৫০ কেজি) প্রতি বেড়েছে ৬০ টাকা। বেতী চালের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় ৭০ টাকা, সিদ্ধ মেনিকেট বেড়েছে বস্তা প্রতি প্রায় ১৫০ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ি মোঃ রওশন জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা দোকানে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন বৃদ্ধি পেয়েছে তারা জানেন না। কয়েক দিনের মধ্যে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে নিত্য পণ্যের মূল্য। কোন কারণ ছাড়া মুল্য বৃদ্ধি পেলে ক্রেতাদের প্রশ্নে সম্মুখিন হতে হয় আমাদের।
পণ্য সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি এন্টার প্রাইজের পরিচালক সনজিত বৈদ্য জানিয়েছেন, বাজারে প্রচুর সরবরাহ আছে। কোন সংকট নেই। অহেতুক রমজানের আগে পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির প্রবণতা থেকেই এমনটি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য কোন কারণ নেই। পিয়াজের মূল্য আরো কমেছে। রমজান মাসকে সামনে রেখে বাড়ার কথা ছিল পিয়াজের মূল্য, কিন্তু বেড়েছে অন্য পণ্যের মুল্য। তেলের মুল্যও স্থিতিশীল আছে। ডিমের মূল্য আরো কমেছে।
বড় বাজারের গৌরী ভান্ডারের পরিচালক দিলীপ শীল জানিয়েছেন, চালের মূল্য কেন বাড়ছে তা কারো জানা নেই। গত সপ্তাহে আসা চাল বস্তা প্রতি কিছু বাড়তি দাম ধরেছেন সরবরাহকারিরা। যার ফলে খুচরা বাজারেও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পাইকারি ব্যবসায়িদের করার কিছু নেই। দ্রব্য মুল্য স্থিতিশীল থাকলে ব্যবসা করতেও সুবিধা।
আর একজন শীর্ষ ব্যবসায়ি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রমজানে নিত্য পণ্যের মূল্য দাম বাড়াতে প্রতি বছরই একটি বিশাল সিন্ডিকেট কাজ করে। গত রমজানে এদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। সরকার কঠোর ভাবে বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করায় তারা মূল্য বাড়াতে পারেনি। ওই সিন্ডিকেটটি এখন আবার তৎপর হয়েছে নিত্য পণ্যের মূল্য বাড়াতে।
ক্রেতা এডঃ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে এখনই জেলা প্রশাসনের তৎপরতা শুরু করা প্রয়োজন। মূল্য একবার বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক দিন সময় লাগে। ইতোমধ্যে অনেক প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ রাখতে একাধীক ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করবে। এতে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

পাঠকের মতামত: