:: জহিরুল ইসলাম ::
২০২০ সাল। ইতিহাসের এক কালো বছর হয়েই থাকবে আজীবন। মহামারীর এ বছরে অভিশপ্ত ভাইরাসে শুধুমাত্র বৃহত্তর চট্টগ্রামেই হারাতে হয়েছে ৩৭৭ জন মানুষকে। যাদের মধ্যে রয়েছে পৃথিবীকে আলোকিত করা এবং মানব সমাজের জন্য কল্যাণকর কাজ করা অনেক মণীষীও। হারিয়েছি নানা ক্ষেত্রের অনেক বিশিষ্টজনকে। এরমধ্যে করোনার সাথে যারা লড়াই করে অন্যদের সেবা দিতে যাওয়া ১৮ জন চিকিৎসককে হারিয়েছে চট্টগ্রামবাসী। আলোচিত মৃত্যুগুলো যেমন কাঁদিয়েছে চট্টগ্রামের মানুষদের, তেমনি সকল মৃত্যুতেই নিহতদের পরিবারের হয়েছে অপূরণীয় ক্ষতি।
করোনায় চিকিৎসকদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন :: চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম ২৫ মে মারা যান মা ও শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি, ৩ জুন মারা যান চট্টগ্রাম মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক প্রধান ডা. এহসানুল করিম, ৪ জুন মারা যান চমেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মাহিদুল হাসান, ৮ জুন মারা যান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. আবু বকর সিদ্দিক, ১২ জুন উপসর্গ নিয়ে মারা যান ডা. আরিফ হাসান, ১৪ জুন মারা যান জেসমিন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদেকুর রহমান, ১৭ জুন মারা যান মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সিনিয়র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল হক, ১৮ জুন মারা যান ডা. জান্নাতুল নাঈম জিনিয়া, ২১ জুন প্রবীণ চিকিৎসক, নাক কান গলারোগ বিশেষজ্ঞ ডা.ললিত কুমার দত্ত, ২৪ জুন চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু ও প্রবীণ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহিদুল আনোয়ার, ২৬ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ১৪ জুলাই মারা যান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সুলতানা লতিফা জামান আইরিন, ২০ জুলাই আক্রান্ত হয়ে মারা যান চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. নজরুল হক, ৩ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ১৩ অক্টোবর মারা যান চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কাউসার আহমদ মজুমদার, ৫ নভেম্বর মারা যান ডা. মৌসুমি রায়, ২১ ডিসেম্বর মারা যান চমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. হাসান মুরাদ।
পাঠকের মতামত: