জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার:
মিয়ানমারের মংডুতে আটকাপড়া ২০ জন বাংলাদেশী টেকনাফে ফিরেছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধা সোয়া ৬টার দিকে টেকনাফ স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন জেটি দিয়ে তারা ফিরে আসেন। তবে বাংলাদেশে আটকে আছে দু’শতাধিক মিয়ানমার নাগরিক। শনিবার রাতে আরাকান রাজ্যের কাওয়ারবিল তানাইংসুক , নাফফোরা, রাসিডং ও কোডেংগাও এলাকায় ৩ বিজিপি ক্যাম্পে স্বশস্ত্র হামলার পর রোববার হতে ইমিগ্রেশন যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে। যার কারনে টেকনাফ ও মংডু শহরে আটকা পড়েছিলো এরা।
টেকনাফ ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডাটা এ্যান্ট্রি অপারেটর) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ১৮ জন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও দুই শিশুসহ ২০ জনকে সোমবার সন্ধ্যায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একটি ট্রলারে ফিরে আসার ব্যবস্থা করেন।
ফিরে আসা ব্যবসায়ী চট্রগামের আবুল বছর, টেকনাফ জালিয়া পাড়ার ওসমান ও কুলাল পাড়ার আবুল হাসেম জানান, মংডু শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রবিবার থেকে খাওয়ার হোটেল বন্ধ ছিলো।
এদিকে টেকনাফে আটকে পড়া মিয়ানমার নাগরিক মংডুর দিল মোহাম্মদের ছেলে ও ছৈয়দ আকবরের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, মিয়ানমারে চলমান ঘটনার কারনে মংডু ও টেকনাফে নৌ-চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার কারনে ফিরে যেতে পরছেন না দু’শতাধিক মিয়ানমার নাগরিক।
শনিবার ভোরে বিজিপি ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় ৯ বিজিপি সদস্য নিহত ও ৫ বিজিপি সদস্য আহত এবং ৯ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠনের সদস্য নিহত হয়েছে বলে রাজধানী নেডিডোতে সংবাদ সম্মেলনে মিয়নমারের পুলিশ প্রধান মেজর জেনারেল জ্য উইং জানিয়েছেন। এতে জানানো হয়, রবিবার রাত দেড় টা হতে সাড়ে ৪ টার পর্যন্ত ২ শতাধিক হামলাকারী তিনটি ক্যাম্পে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ৬২ টি অস্ত্র ও ১০ হাজার রাউন্ড গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২ জন হামলা কারীকে আটক করা । এ ছাড়া মংডু ও রাসিডং এলাকায় রাত ১১ টা হতে সকাল ৪ টা এবং রাত ৭ টা হতে সবাল ৬ টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ রয়েছে।সুত্র টেঃভিঃ
পাঠকের মতামত: