আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে আটক করা হয়েছে মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের। এদিকে এমন ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে জেন সাকি বলেছেন, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার যে কোনো ধরনের চেষ্টার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টারও বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপগুলোর ব্যত্যয় ঘটলে মিয়ানমারের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে মিয়ানমারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে দেশটির আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এবং অবৈধভাবে আটককৃত সব বেসামরিক নেতা এবং অন্যদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনী সমর্থিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনী আবার ক্ষমতা দখল করবে এমন গুঞ্জন চলছিল। প্রায় পাঁচ দশক ধরে মিয়ানমারের ক্ষমতায় ছিল দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি জয় পায়। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে সেনাবাহিনী।
পাঠকের মতামত: