বিদেশ ডেস্ক ::
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ডই সবচেয়ে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক। এক প্রতিবেদনে তারা জানায়, এই কার্ড আদতে রাখাইনের বর্ণবৈষম্যকেই বৃদ্ধি করছে। একে নাগরিকত্বের প্রথম ধাপ বলে রোহিঙ্গাদের তা গ্রহণে চাপ প্রয়োগ করা হলেও বছরের পর বছর এই কার্ডের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে বিদেশিদের মতো করে রাখা হয়েছে।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। উগ্র বৌদ্ধবাদকে ব্যবহার করে সেখানকার সেনাবাহিনী ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্থাপন করেছে সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসের চিহ্ন। ছড়িয়েছে বিদ্বেষ। ৮২-তে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনে পরিচয়হীনতার কাল শুরু হয় রোহিঙ্গাদের। এরপর কখনও মলিন হয়ে যাওয়া কোনও নিবন্ধনপত্র, কখনও নীলচে সবুজ রঙের রসিদ, কখনও ভোটার স্বীকৃতির হোয়াইট কার্ড, কখনও আবার ‘ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড’ কিংবা এনভিসি নামের রংবেরঙের পরিচয়পত্রে ধাপে ধাপে মলিন হয়েছে তাদের জাতিগত পরিচয়। ক্রমশ তাদের রূপান্তরিত করা হয়েছে রাষ্ট্রহীন বেনাগরিকে।
মিয়ানমার সরকার অনেকদিন ধরেই রোহিঙ্গাদের এই কার্ড গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছে। তাদের দাবি এতে করে সরকারি সুবিধাগুলো পাবে রোহিঙ্গারা। তবে রোহিঙ্গারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে এতে করে তাদের দুর্দশাই কেবল বাড়বেভ।
এনভিসি: অ্যা ব্যারিয়ার টু রোহিঙ্গা রিপ্যাট্রিয়েশন শীর্ষ ওই প্রতিবেদনটি কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতক রাষ্ট্রীয় অপরাধ প্রকল্পের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করে মানবাধিকার সংস্থাটি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক কিয়াও উইন বলেন,‘মিয়ানমার সরকার এনভিসিকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের প্রথম ধাপ দাবি করলেও তা বিতর্কিত। এই কার্ড দিয়ে বছরের পর বছর রোহিঙ্গাদের আলাদা চিহ্নিত করে বিদেশিদের মতো করে রাখা হয়েছে।
মিয়ানমার যেন রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে সেই ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান উইন। এক বিবৃততে সংস্থাটি জানায়, তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন যে তাদের হুমকি দিয়ে এনভিসি কার্ডের ব্যাপারে রাজি করানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এদের সঙ্গে রয়েছেন ১৯৮২ সাল থেকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া আরও প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- চকরিয়ায় রেল স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করেছে দুবৃর্ত্তরা
- চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দুই দোকান পুড়ে ছাই,
- চকরিয়ায় মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচল বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের ক্যাম্পেইন
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- নাইক্ষ্যংছড়িতে হতদরিদ্রদের মাঝে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবকে বৈষম্য মুক্ত করতেই হবে
- চকরিয়ায় মাটির টপ সয়েল কেটে বিক্রি : অভিযানে স্কেভেটর ও তিনটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ
- চকরিয়ার বদরখালীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- ফুলছড়িতে ৪৬ টুকরো গর্জন কাঠ ভর্তিগাড়ী জব্দ আটক-১
- চকরিয়ায় আ. লীগ নেতার গোয়ালঘর থেকে চোরাই গরু উদ্ধার
- রামুতে বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতিবাজ আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বার্ষিক পুনর্মিলনী ও অভিষেক
- চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে হাতি শাবকের ঠাঁই হলো
- চকরিয়ায় রাতের আধারে গরীব মানুষের ঘরের দরজায় গিয়ে শীতের কম্বল দিয়েছেন ইউএনও
- চকরিয়ায় মাটির টপ সয়েল কেটে বিক্রি : অভিযানে স্কেভেটর ও তিনটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- ফুলছড়িতে ৪৬ টুকরো গর্জন কাঠ ভর্তিগাড়ী জব্দ আটক-১
- চকরিয়ায় পুলিশের জালে দুই ডাকাত, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
- চকরিয়ায় রেল স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করেছে দুবৃর্ত্তরা
পাঠকের মতামত: