ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

৪ বছর ধরে জেটি নির্মাণ প্রস্তাব ফাইলবন্দি

মারাত্মক ঝুঁকিতে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল জেটি

এম.এ মান্নান, কুতুবদিয়া :: দুই দশকের পুরনো মারাত্মক ঝুঁকিতে কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল জেটি। ফলে যে কোন সময় ধ্বসে পড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। সংস্কারের অনুপযোগী হওয়ায় পাশে আরেকটি নতুন জেটি নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ৪ বছর আগে ২০১৮ সালে। প্রস্তাবিত বাজেট আর বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজেটে দো-টানায় এখনো সেটি ফাইলবন্ধি হয়ে আছে জেটি নির্মাণ অনুমোদনের বিষয়টি।

সরেজমিন দেখা যায়, জেটির দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে, ফাঁটল ধরেছে পুরো জেটিতে। পিলার ভেঙে গেছে কয়েকটি। মালামাল পরিবহণ আর যাত্রী উঠা-নামায় যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়তে পারে জেটি। দূর্ঘটনায় প্রাণহানী ঘটারও শংকা শতভাগ। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে জেটি ব্যবহার হলেও খোঁজ নিচ্ছেনা কেউ।

ধ্বসে পড়ার শংকা নিয়ে চলতি বছর সরকারি ভাবে ফের প্রায় ১১ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে জেটি। পারাপারে ইজারা রয়েছে আরো ৪ লাখের মত। জেটিতে সরকারি সুবিধা না বাড়লেও প্রতিবছর ইজারামূল্য বাড়ানো হচ্ছে ১০ শতাংশ করে।

জেটির গোড়ায় উত্তর পাশেই ভাঙনের শিকার হয়েছে অন্তত ১০টি দোকান। সাকিন স্টোরের মালিক সাহাব উদ্দিন বলেন, মারাত্মক দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে জেটি। জেটির পাশে অন্তত ১০টি দোকান প্রতিদিন জোয়ারের ধাক্কায় ভেঙে পড়ার উপক্রম। জেটি সংস্কার হলে তারাও সংস্কারের আওতায় পড়বেন মনে করে বছরের পর বছর পার করছেন। দেখার কেউ নেই।

জেটিতে ভাড়া আদায়কারি জমির উদ্দিন বলেন, মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যেই তারা যাত্রী পারাপার আর পণ্য ওঠা-নামা করছেন। শুনেছেন জেটি সংস্কার হবে। তবে সেটি কবে নাগাদ হবে তার কোন ইয়ত্তা নেই।

কুতুবদিয়া ফিশিং বোট মালিক সমিতির সেক্রেটারী জয়নাল আবেদীন বহদ্দার চকরিয়া নিউজকে বলেন, জেটির বেশ কয়েকটি পিলার ভেঙে গেছে। রেলিং নেই। প্রতিদিন যাত্রী পারাপার ছাড়াও খাদ্য, মাছ, পল্ট্রিফিড, ব্যবসায়িক মালামাল পরিবহণ হয় ঝুঁকিপূর্ণ জেটিতে। বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা করেন তিনি। পাশেই প্রস্তাবিত জেটি নির্মাণে দ্রæত উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্তার কামাল চকরিয়া নিউজকে বলেন, জেটি অত্যান্ত নাজুক নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। তিনি পরিষদে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নির্বাহি প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বারবার বিষয়টি জানিয়েছেন। আশ্বাস দেয়া হলেও কাজ হয়নি। যে কোন সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে তিনি জানান।

উপ-সহকারি প্রকৌশলী জামাল খান চকরিয়া নিউজকে  জানান, ২০১৮ সালে উপজেলায় ৪টি জেটি নির্মানের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। বড়ঘোপ ও আলী আকবর ডেইল জেটি ছাড়া বাকি দু‘টি পাশ হয়েছে। তৎসময়ের দর অনুযায়ি ১৩ কোটি টাকায় ১৮০ মিটার দীর্ঘ জেটি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।

বর্তমানে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতিতে নতুন দর নির্ধারণ করে নাজুক পরিস্থিতির আলী আকবর ডেইল ঘাটে জেটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রæত পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

পাঠকের মতামত: