মাদক ব্যাধিতে সারা দেশ আক্রান্ত । মাদকদ্রব্য নেই বাংলাদেশে এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার আনাচে-কানাচে সর্বত্রই মাদকে ভরপুর। সারা দেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, ইনজেক্টিং ড্রাগ, হেরোইন, কোকেন, আফিম, গাঁজা, দেশি-বিদেশি মদ ও বিয়ারের ভয়াল প্রভাবে তরুণ প্রজন্ম মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। আর এসব মাদক উদ্ধারের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ইয়াবা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত এক পরিসংখ্যানে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতি মিনিটে ৩৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করছেন। মাদকের ভয়াবহ প্রকোপ বিশেষ করে ইয়াবার ভয়াবহ চিত্রে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালও চিন্তিত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ২০১৪ সালে ৬৫ লাখ ১২ হাজার ৮৬৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ২০১৫ সালে উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ তিনগুণের বেশি অর্থাৎ ২ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৪৫ পিস। একই সময় ফেনসিডিল, কোকেনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পরিমাণও কমেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খাতায় ২০১৫ সালে আফিম উদ্ধারের পরিমাণ শূন্য। ২০১৪ সালে উদ্ধাররকৃত আফিমের পরিমাণ ছিল ৯১ কেজি।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদকের পাচার রোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে মাদক প্রবেশপথ প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে মাদক পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা নিয়ে তিনি বেশি চিন্তিত। আকারে ছোট হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় ইয়াবার পাচার রোধ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচার বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান রেখে হালনাগাদ ও যুগোপযোগী আইন করা হবে। দেশে ৫০ হাজারেরও বেশি মামলা পেন্ডিং রয়েছে জানিয়ে তিনি পৃথক আদালত গঠনের কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান।
মাদকের অপব্যবহার রোধে শুধু আইন প্রণয়ন, আসামিকে গ্রেফতার কিংবা শাস্তি প্রদান যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, সামাজিক গণসচেনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে সামাজিক প্রতিরোধ ছাড়া মাদকের ভয়াল থাবা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানো দুরূহ হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে সারা দেশে ৫১ হাজার ৮২৭টি মামলায় ৬২ হাজার ২৪৬ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৫ সালে মামলার সংখ্যা ৫৭ হাজার ৪২৭টি ও আসামির সংখ্যা ৭০ হাজার ৫৯০ জনে দাঁড়িয়েছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক রাকিবুর রহমান জানান, ২০১৪ সালে ১১ হাজার ৭২৩টি ও ২০১৫ সালে ১০ হাজার ৫৪৮টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালে ১২ হাজার ৫৯০ জনকে ও ২০১৫ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪ হাজার ৮১৫টি অভিযানে ৭ হাজার ৯৪৮টি মামলায় ১২ হাজার ৫৯০ জনের সাজা ও ২০১৫ সালে ১৪ হাজার ৯৩৭টি অভিযানে ৭ হাজার ৪৮৭টি মামলায় ৭ হাজার ৮২৩ জনকে সাজা দেয়া হয়।
প্রকাশ:
২০১৬-০৬-২৮ ১৫:২৫:৫৯
আপডেট:২০১৬-০৬-২৮ ১৫:২৫:৫৯
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- চকরিয়ায় উপজেলা পরিষদের পুকুরে ডুবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
পাঠকের মতামত: