ছালাম কাকলী, মহেশখালী :
কক্সবাজার জেলার ভৌগলিক মানচিত্র থেকে আলাদা দ্বীপ মহেশখালী উপজেলা মাতারবাড়ী কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার আবুল কালাম এর দূর্নীতি, গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ১৭ জুলাই বিকেলে ১ ঘন্টা যাবৎ ব্যাংক ঘেরাও করে রাখে। পরে অবশ্যই ইউ.পি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ , ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আবু হায়দার ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দু রহিমের হস্তক্ষেপে জনগণ ব্যাংক এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
মাতারবাড়ী কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার আবুল কালাম উক্ত ব্যাংকে যোগদান করার পর থেকে গ্রাহকের একাউন্টে নির্ধারীত টাকা জমা না করে আত্মসাৎ করা , গ্রাহকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ , বয়স্ক ভাতাদের কাছ থেকে টাকা কর্তন ও কর্মসৃজনের তালিকাভূক্ত হত দরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা কর্তন সহ বিভিন্ন অভিযোগে সম্প্রতি ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে কয়েকবার কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এমনকি মাতারবাড়ীর সিকদার পাড়ার দৌলতখানের পুত্র বদরুদ্দোজার ১৮১৯ নং একাউন্টে ৪৪ লাখ টাকার স্থলে দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৯ লাখ টাকা। উক্ত গ্রাহক গত ১৬ জুলাই তার একাউন্টের টাকা চেক করার সময় আরো ৫ লাখ টাকা তার একাউন্টে কম দেখা দেয়ায় গ্রাহকের সাথে ম্যানেজারের মধ্যে বাক বিতন্ডতা ঘটে। বিষয়টি সমাধান করতে ম্যানেজার কোন ধরণের সমাধানের উত্তর দিতে না পারায় গ্রাহক বদরুদ্দোজা বিষয়টি গত ১৭ জুলাই সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে মৌখিকভাবে জানান। জেলা প্রশাসক তৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি জেনে সমাধান করার জন্য মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে ্ইউনিয়ন আলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আবু হায়দার ও চিংড়ী ব্যবসায়ী আলীগ নেতা আব্দু রহিমকে নিয়ে ব্যাংকে গেলে ম্যানেজার আবুল কালাম তাদের সাথে কোন ধরণের কথা না বলে উল্টো মোবাইল দিয়ে ভিডিও করতে থাকে। বিষয়টি আচ করতে পেরে বিক্ষুব্ধ জনতা ম্যানেজারকে ধরে উত্তম-মধ্যম দেয়। পরে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে জনগণকে ব্যাংক থেকে সরিয়ে নেয়। অভিযুক্ত ম্যানেজারকে কয়েকদিনের মধ্যে মাতারবাড়ী থেকে বদলী করার দাবী জানান এলাকাবাসী। অন্যথায় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে।
পাঠকের মতামত: