মহেশখালী প্রতিনিধি :: মহেশখালীর মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরের জেটিতে এসে ভিড়েছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি অউসু মাওরো’। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এসেছে জাহাজটি। গত মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে মাতারবাড়ি বন্দরে এসে পৌঁছায়।
বন্দরসূত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৮০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরের জেটিতে এসে ভিড়েছে পণ্যবাহী জাহাজ এমভি অউসু মাওরো। এটিই দেশের বন্দরে নোঙর করা সবচেয়ে বড় পণ্যবাহী জাহাজ। ২২৯ মিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ১২ মিটার ড্রাফটের (পানিতে নিমজ্জিত অংশের গভীরতা) জাহাজটি মঙ্গলবার মাতারবাড়ি উপকূলে এসে পৌঁছায়। গত ১৩ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার তারাহান থেকে কয়লা নিয়ে সিঙ্গাপুর হয়ে এসেছে জাহাজটি।
মহেশখালী–কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বন্দরে উপস্থিত হয়ে পানামার পতাকাবাহী এই বৃহত্তর জাহাজটিকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি বলেন, সমুদ্র বন্দরের অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ এখনো শেষ না হলেও নির্ধারিত সময়ের আগে দেশের বৃহত্তম জাহাজটি ভেড়াতে সক্ষম হয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও একটি ইতিহাস সৃষ্টি হলো। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের আরো একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রসঙ্গত, বন্দর হিসেবে গড়ে ওঠার আগেই গত এক বছরে মাতারবাড়িতে ১১২টি জাহাজ ভিড়েছে। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রথম জেটিটি নির্মাণ শেষে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি ভেনাস ট্রায়াম্প’ প্রথম সেখানে ভিড়েছিল। এরপর মাতারবাড়িতে আসা ১১২টি জাহাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে এসেছিল। এবারই প্রথম নিয়ে আসা হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের কয়লা।
কঙবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নে ৫১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নিয়ে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। সঙ্গে এই কেন্দ্রের কয়লা আমদানির জন্য জেটি নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছিল সেখানে। পরে সেটিই গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে রূপ নেয়। দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
পাঠকের মতামত: