এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা পয়েন্টের নতুন মাতামুহুরী সেতুর নির্মাণে অধিগ্রহনের উচ্ছেদকৃত সেই জমিতে ফের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভুমি শাখা ও সেতু নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘ক্রস বর্ডার রুট নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের নিস্কৃয় ভুমিকার কারনে বর্তমানে উচ্ছেদকৃত বেশিরভাগ জমিতে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে।
জানা গেছে, নতুন মাতামুহুরী সেতুর নির্মাণে অধিগ্রহনের আওতায় জেলা প্রশাসনের ভুমি শাখা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘ক্রস বর্ডার রুট নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে গত ৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার নতুন মাতামুহুরী সেতুর দুই এপ্রোচ অংশে শতাধিক ব্যক্তিগত মালিকানাধীন দোকানপাট ও বসতঘরসহ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়। অভিযানে চকরিয়া পৌরশহরের পুরাতন বাসস্টেশন এবং সেতুর দুই অংশের অন্তত শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযানের পর থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভুমি শাখা ও সেতু নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘ক্রস বর্ডার রুট নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্পের কর্মকর্তারা বর্তমানে নিস্কৃয় ভুমিকা পালন করছে। এ সুযোগে কতিপয় মহল উচ্ছেদকৃত বেশিরভাগ জমিতে ফের নতুন করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয় লোকজন দাবি তুলেছেন, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা মৌজার আরএস ১৪১ ও বিএস ৩৩ খতিয়ানের বিএস ৭৩৬ দাগের ১৫ শতক ও ৭৫৪ দাগের ৮ শতকসহ মোট ২৩ শতক জমি বর্তমানে মাতামুহুরী সেতুর অধিগ্রহনের আওতায় পড়েছে। উল্লেখিত জমির বিপরীতে ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৭ টাকা ক্ষতিপুরণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের ভুমি শাখা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘ক্রস বর্ডার রুট নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে মাতামুহুরী সেতুর দুই এপ্রোচ অংশে শতাধিক ব্যক্তিগত স্থাপনা উচ্ছেদ হয়। অভিযোগ উঠেছে, ওইদিনের অভিযানে জমজম হাসপাতাল লাগোয়া উল্লেখিত ২৩ শতক জমির মধ্যে ১৩ শতক জমি থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে আরো দশ শতক জমির স্থাপনা। বর্তমানে উচ্ছেদকৃত জমিতে ফের নতুন করে স্থাপনা তৈরী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, উচ্ছেদকৃত জমিতে ফের স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকলেও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভুমি শাখা ও সেতু নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘ক্রস বর্ডার রুট নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্পের কর্মকর্তারা নিস্কৃয় রয়েছেন। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কী দখলবাজদের সুযোগ দিচ্ছেন, বিনিময়ে আর্থিক সুফল ভোগ করছেন। এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি। ##
পাঠকের মতামত: