মো. সাইফুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া :: কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটির মাঝখানে ছাদের একাংশ দেবে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। ফলে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের সাথে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা যে কোন মুহুর্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
জানাগেছে, মাত্র ক’মাস আগে ব্রিজটির সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কাজের কার্যদেশ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ও চকরিয়ার সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী বরাদ্ধ দেয়া ৩ কোটি টাকার মধ্যে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে সিংহ ভাগ টাকা ভাগভাটোয়ারার মাধ্যমে আত্মসাৎ করায় বর্তমানে ব্রিজটি মারত্মক ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন এ ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যানবহনসহ হাজার হাজার গাড়ি যাতায়ত করে থাকে। এলাকার সচেতন জনগন জানান, যে কোন মুহুর্তে ব্রিজের ফুটো হওয়া ছাদের গর্তে পড়ে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে ও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে।
১৯৬০ সালে নির্মিত এ ব্রিজটি ইতিপূর্বে আরেক দফা ব্রিজের নিজে বালির বস্তা বসিয়ে লাখ লাখ অপচয় ও দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসব ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত থাকার পরও দূর্নীতিবাজ চকরিয়া উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
২০এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ব্রীজের একাংশ নীচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে যান-বাহন চলাচলে সতর্কাবস্থা জারি করেছে সংশিষ্ট বিভাগ। তবে সেতুর দেবে যাওয়া ওই অংশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা ইট-কংকর-মাটি,গাছ ও লোহার সীড দিয়ে গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
জানাগেছে, সরকারের পক্ষ থেকে চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর চিরিংগা পয়েন্টে ৬ লেন বিশিষ্ট নতুন সেতু নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিক শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এজন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়ার্কঅর্ডারও পেয়েছেন। ওই নির্মাণকাজ শেষ হতে অন্তত ৩ বছর সময় লাগবে। কিন্তু ওই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছেনা পুরাতন সেতুতি। ইতিমধ্যে পুরাতন সেতুটি মেরামত করতে খরচ লেগেছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। বর্তমানে দূর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ দেবে যাওয়া অংশ পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তিনি সার্বিকভাবে তদারকি করছেন এবং জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালকের সাথে কথা বলেছেন। তবে তিনি যানবাহন চলাচলে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বের জন্য সংশিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
পাঠকের মতামত: