এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: অভিরাম ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে আবারও ভাঙ্গন তাণ্ডব শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি ঢলের প্রচন্ড ধাক্কায় মাতামুহুরী নদীর চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী ভাঙ্গারমুখ পয়েন্ট অধিক ঝুকিঁপুর্ণ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় নদীতে বিলীন হবার উপক্রম হয়েছে চকরিয়া পৌরশহর রক্ষাবাঁধ ছাড়াও দিগরপানখালী ভাঙ্গারমুখ এলাকার হাজারো বসতি।
ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের তাণ্ডবে ভাঙ্গনের কবল থেকে সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন কক্সবাজার পান্ িউন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয় জনগনের দুর্ভোগ এবং সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় অবশ্য আগে থেকে অনুকুলস্থলে টেকসই বাঁধ নির্মাণে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ আলহাজ জাফর আলম। এরই মধ্যে সম্প্রতিসময়ে অভিরাম ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরী নদীতে আবারও ভাঙ্গন তাণ্ডব শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি ঢলের প্রচন্ড ধাক্কায় মাতামুহুরী নদীর চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী ভাঙ্গারমুখ পয়েন্ট অধিক ঝুকিঁপুর্ণ হয়ে উঠেছে।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মাতামুহুরী নদীর ঝুকিপুর্ণ পয়েন্ট দিগরপানখালী পরিদর্শন করেছেন সাংসদ আলহাজ জাফর আলম ও পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী। এসময় নির্বাহী প্রকৌশলীসহ পাউবোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষনিক দিগরপানখালী ভাঙ্গারমুখ পয়েন্টের নদী ভাঙ্গনরোধে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় জিওব্যাগ দ্বারা প্রতিরক্ষামূলক কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন সাংসদ আলহাজ জাফর আলম।
রাতে নির্দেশনা দেয়ার পর গতকাল শুক্রবার ৩০ জুলাই সকালে মাতামুহুরী নদীর দিগরপানখালী পয়েন্টের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং শুরু করা প্রতিরক্ষামূলক কাজের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষন করেছেন এমপি জাফর আলম। এসময় পাউবোর কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: