নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: প্রলয়ংকরী ঘুর্নি ঝড় ও সাইক্লোণ থেকে উপকুলবাসীকে রক্ষাকারী হচ্ছে প্যারাবন। পানির ওপর জেগে আছে কেটে নেওয়া অসংখ্য প্যারাবনে বাইনগাছের গুঁড়ি। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কেটে ফেলা গাছের ডাল-পালা। এলাকাটি উপকূল রক্ষার জন্য সৃজিত প্যারাবনের একটি অংশ।
গতকাল বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর ইউনিয়নের দক্ষিণমাথা ফিশারিঘাট সংলগ্ন বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির লম্বাঘোনা নামে পরিচিত উপকূলীয় বন বিভাগের সৃজিত প্যারাবন কেটে নিধন করা হচ্ছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় গুদাম পাড়া গ্রামের লম্বা ঘোনার নিলাম গ্রহণকারীর কর্মচারী জয়নালের নেতৃত্বে প্যারাবাগান কেটে সাবাড় করা হচ্ছে । তার সহযোগী হিসাবে ৬নং ওয়ার্ড মহুরীজোরা পাড়ার মোঃ জুবাইর প্রকাশ বখতিয়ার পিতা মোঃ হোছাইন ফকির, বদরখালী ৯নং ওয়ার্ডের নাপিতখালী পাড়ার গ্রামের সরওয়ার পিতা ছৈয়দ আহমদ, মোহাঃ শরীফ পিতা ছৈয়দ আহমদ, রুহুল কাদের, পিতা মোঃ হাশেম, আব্দুললাহ্. পিতা নজির আহমদ, নাছির উদ্দিন পিতা আবদুচ সালাম, আনছারুল করিম পিতা: আব্দুচ সালাম, আক্তার হোসেন পিতা, মৃত শহর আলী, ফরিদ আলম. পিতা: হাসান শরীফ, রুবেল. পিতা মৃত অলি আহমদ, বাবুল. পিতা ওয়াজ উদ্দিন, আলী আজম. পিতা ইমাম হোসেনসহ আরো ১০/১২ জন প্রতিনিয়ত প্যারাবন গাছ কেটে যাচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সাবেক ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাফর মেম্বার চকরিয়া নিউজকে জানান এভাবে প্যারাবাগান কেটে সাবাড় করে দিলে উপকূলের মারাত্মক ক্ষতি ও পরিবেশ ধ্বংস হবে বলে আশংকা করেছেন। এদিকে দখলবাজ সিন্ডিকেট কতৃক প্যারাবন ধব্ংস করে চিংড়ী ঘের করার জন্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল। উপকুলীয় প্যারাবন ধব্ংসকারীরা তাদের কু-কর্ম ঢাকার জন্যে কিছু কিছু স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রতিবাদ আকারে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতরের উপ- সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ নাজমুল হুদা জানান সংশ্লিষ্ট বন অধিদফতরের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন বলে এডিয়ে যান।
পাঠকের মতামত: