নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও হোয়ানক টাইমবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা সুলতান আহামদ হোসাইনী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি–রাজেউন। মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। মাওলানা সুলতান আহামদ হোসাইনী হোয়ানক ইউনিয়নের খোরশাপাড়া গ্রামের মৃত ছব্বির আহামদের তৃতীয় পুত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তার মৃত্যুতে উপজেলা শিক্ষক অঙ্গনসহ সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মরহুমের ভাতিজা গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার সরওয়ার মোরশেদ জানান, গত ১৫ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হন মাওলানা সুলতান আহামদ হোসাইনী। তাঁকে সাথে সাথে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতলেট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসা দেয়া পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১৯ এপ্রিল ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় হোয়ানক টাইমবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
মাওলানা সুলতান আহামদ হোসাইনী দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মহেশখালী উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর স্ত্রী ও এক কন্যা রয়েছে। তার কন্যা একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। সদা হাস্যেজ্জ্বল ও সজ্জন এই মানুষটি সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীসহ সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের অতি প্রিয় একজন শিক্ষক ছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি নিজের সন্তানের মতো করে ভালোবাসতেন।
এ প্রসঙ্গে কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমান উল্লাহ বলেন, ‘মাওলানা সুলতান আহামদ হোসাইনী চলার পথে সকল সহকর্মীদের সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতেন। বিশেষ শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে তিনি শিক্ষকদের সুখ-দুঃখে সব সময় খোঁজ নিতে। কেউ কোনো সমস্যা পড়লে তা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন।’
মাওলানা সোলতান আহামদের মৃত্যুতে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্য্যক্তিবর্গ, প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: