ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৮০ কি.মি গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে

ররািছালাম কাকলী ॥ সাগরদ্বীপ মহেশখালী উপজেলায় উন্নয়ন প্রকল্প স্থাপনের মহা পরিকল্পনা হিসেবে মাতারবাড়ীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রাথমিক কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি কালারমার ছড়া ইউনিয়নেও গ্যাস স্টক করার কার্যক্রম শুরু করেছে চলতি সালের ১০ জানুয়ারি থেকে। এ গ্যাস লাইন চট্টগ্রাম এর আনোয়ারা থেকে কালারমারছড়া পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার গ্যাস লাইন স্থাপনের কাজ করছে ছয়টি ঠিকাদারী ফার্ম।

 টেকনিক্যাল কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারী ফার্ম এর ফাইটার আব্দুল কাদের হাওলাদার জানান- ২০১২ সালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া পর্যন্ত গ্যাস লাইন স্থাপনের জন্য টেকনিক্যাল কনস্ট্রাকশন কোম্পানীর মালিক ঢাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জিল্লুর রহমান প্রাথমিক কাছ শুরু করেন। এ কাজ শুরু করার জন্য ছয়টি পৃথক পৃথক টেন্ডার আহবান করা হয়। এ ৬টি টেন্ডারের মধ্যে ম্যাকচুয়াল কোম্পানী ১১ কিলোমিটার, জিপন কেস কোম্পানী সোয়া ৬ কিলোমিটার, ফিড কনস্ট্রাকশন ২২ কিলোমিটার, ক্যাসেল কোম্পানী ১১ কিলোমিটার, গ্যাস মিন ১১ কিলোমিটার, টেকনিক্যাল কনস্ট্রাকশন সাড়ে ১৭ কিলোমিটার টেন্ডার পায়। সম্প্রতি সময়ে আনোয়ার থেকে কালারমারছড়া পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে যে গ্যাস লাইন হচ্ছে ঐসব জায়গা গ্যাস কোম্পানী অধিগ্রহণ করেছে এবং তাদের ৭ ধারা নোটিশ ও দেয়া হয়েছে। জায়গার মালিকদের কাছে টাকা বুঝে দেয়ার পরপরই কোম্পানীর নিয়োজিত ৬টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১০ জানুয়ারি থেকে পাইপ লাইন স্থাপনের কাছ শুরু করেছে। এ পাইপ লাইন স্থাপনের পাশাপশি কালারমারছড়ায় ২টি গ্যাস স্টক করার কাজও শুরু হয়েছে। তিনি আরো জানান- আনোয়ারা থেকে কালারমারছড়া পর্যন্ত ২২টি গ্যাস স্টকের স্টেশন হবে। এছাড়া এ কোম্পানীর সড়কটি হবে ৪০ টন ওজনের গাড়ী/যানবাহন চলাচলের উপযোগী হবে। সর্বোপরি এতে মহেশখালী অনেকটা উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বলে তিনি দাবী করেন। এদিকে কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামের লবণ চাষী আবদুল করিম, আহমদ ছপা, রাজিব, ফেওদৌস সহ অনেকে জানান এখন পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় লবণ মাঠে গ্যাস কোম্পানী লাল পতাকা দিয়ে পরিচিহ্নিত করেছে। এ মতে কোম্পানী কাজও করে যাচ্ছে। তবে তাদের কায়িক পরিশ্রমসহ হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় তাদের মুখে যে মুহুর্তে হাসি ফুটেছে ঐ মুহুর্তে গ্যাস কোম্পানীর কার্যক্রম দেখে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। কারণ ক্ষতিপূরণের তালিকায় তাদের নামও নেই।

পাঠকের মতামত: