ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালী ছাত্রীর উপর হামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী জাহেদ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

মহেশখালী প্রতিনিধি :::zahed_1

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তারের উপর হামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী জাহেদুল ইসলামকে দেশীয় তৈরী অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

তিনি জানান, বখাটে জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ আইনে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জাহেদুল ইসলাম (২৬) একই উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকারমৌলানা লোকমান হাকিমের পুত্র। আহত 111মাদ্রাসা ছাত্রী নাহিদা আক্তার কালারমারছড়া ইউনিয়নের অফিসপাড়ার আহমদ হোসেনের কন্যা।

এর আগে, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছাত্রী মুখে-কপালে সেলাই করা আঘাতের চিহ্ন ছিল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ঘটনাটি ঘটলেও তা প্রকাশ পায় ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে। পরে এ ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, জাহেদকে গ্রেফতার করা হয়নি। সে আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আত্মসমর্পণ করে জাহেদ। জাহেদের মা দাবি করে বলেন, ‘ছেলেকে ধরিয়ে দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমরা জাহেদকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করাই। ফুফা মালেক ও হোয়ানক টাইমবাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেলিমের মাধ্যমে জাহেদ থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে জাহেদ। সে যেহেতু আত্মসমর্পণ করেছে তাহলে অস্ত্র উদ্ধারের প্রশ্নই আসে না।’ তিনি আরো দাবি করেন, ‘জাহেদ নাহিদাকে আঘাত করেনি। মেয়েটি এখনো প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় আইনের ভয়ে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন জাহেদ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েটি নিজে নিজে আঘাত করে। ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবারের লোকজন তার দায়ভার জাহেদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।’

পাঠকের মতামত: