ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীর সালামত উল্লাহসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

ডেস্ক নিউজ :
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালীর ১৬ জনের বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) এ আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। মামলায় সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৩ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত।

আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত। আসামি ও পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও মোহাম্মদ আবুল হাসান।

২০১৬ সালের ১৫ মার্চ আব্দুল মজিদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগে (ফরমাল চার্জ) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, ধর্মান্তর ও দেশান্তরকরণের ১৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এতে ৯৪ জনকে হত্যা, অসংখ্য নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন এবং ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। তবে আদালত ১০টি বিষয়ে অভিযোগ গঠন করেছেন।

এর মধ্যে আসামি আবদুল মজিদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যাওয়ার পর বর্তমানে এ মামলার আসামি ১৭ জন। এরআগে এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে তদন্ত চলাকালে গ্রেফতার হওয়ার পর মৌলভি শামসুদ্দোহা (৮২) অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় তার নামও আসামি তালিকা থেকে বাদ গেছে।

আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), সালামত উল্লাহ খান (৭৭), মৌলভি নুরুল ইসলাম (৬১), বাদশা মিয়া (৭৩) ও ওসমান গণি (৬১)। তাদের মধ্যে রশিদ মিয়া বিশেষ শর্তে জামিনে থাকা অবস্থায় চলতি বছরে মারা যান।

পলাতক ১২ আসামি হচ্ছেন- মৌলভি জকরিয়া শিকদার (৭৮), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মৌলভি আমজাদ আলী (৭০), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মৌলভি রমিজ হাসান (৭০), মো. জাকারিয়া (৫৮), মৌলভি জালাল (৭৫) এবং আব্দুল আজিজ (৬৮)।

২০১৫ সালের ০৮ অক্টোবর এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশকরেন তদন্ত সংস্থা। তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. নূরুল ইসলাম ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ওইদিন পর্যন্ত তদন্ত করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলাম পার্টির সক্রিয় নেতাকর্মী ছিলেন। এর মধ্যে সালামত উল্লাহ খান মানবতাবিরোধী অপরাধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থক হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে কাজ করেছিলেন অন্যরা। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটনে সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেরাও ওইসব অপরাধ করেছেন আসামিরা। সুত্র:- বাংলানিউজ।

পাঠকের মতামত: