ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালীর কাঠের জেটি ভেঙ্গে পর্যটক ও যাত্রী নদীতে : জনভোগান্তি চরমে

স্টাফ রিপোর্টার, মহেশখালী :
মহেশখালীর কাঠের জেটি ভেঙ্গে পর্যটক ও যাত্রী নদীতে। মহেশখালী-কক্সবাজার জেটিঘাটের যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। গতকাল (৬ জানুয়ারী) শনিবার বিকাল ৩ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাঠের জেটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায় এক স্কুল শিক্ষিকা সহ অনেক যাত্রী। কাঠের জেটি ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যাওয়া স্কুল শিক্ষিকা তৌহিদা আক্তার জানান, কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে মহেশখালী জেটিঘাটের কাঠের অংশে শিশু সন্তানসহ আরো ২০/৪০ জন পর্যটক অবস্থান করছিল। পুর্ণ জোয়ারের সময় পূর্বদিক থেকে আসা একটি গাম বোট যাত্রী উঠার জন্য জেটিঘাটে নোঙ্গর করে। মুৃহুর্তের মধ্যে অবস্থানরত যাত্রীরা ঐ গাম বোটে উঠার সময় কাঠের জেটি ভেঙ্গে ১২/১৫ জন পর্যটক ও যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। মহেশখালীর জেটিঘাটের সম্মুখে ড্রেজিং করা গর্তে পূর্ণ জোয়ারের সময় পানিতে ঠাই না পেয়ে হাবুডুবু খেলেও টোল আদায়কারী সরকারী প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট লোকজন দর্শকের ভূমিকায় চেয়ে থাকে। পানিতে ডুবে যাওয়া শিক্ষিকা তৌহিদা জানান, পানিতে পড়ে যাওয়ার পর মৃত্যু নিশ্চিৎ ভেবে কলিমা পড়ে নিই। জেটিতে আগত এক বৃদ্ধ যাত্রী দৌঁড়ে ঝাঁপ দিয়ে আমাকে ও অপরাপর লোকজনদেরকে উদ্ধারে সহযোগিতা করে। কোনমতে তার দুই মেয়ে ও অপরাপর যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পায় বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়ার পর বিষয়টি মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোনে অবগত করেন।
বর্তমান সময়ে মহেশখালী জেটিঘাটের দুর্দশা লাঘবে ড্রেজিং এর কাজ শুরু হলেও চলতি শীতকালীন পর্যটন মৌসুমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক মহেশখালীতে ভ্রমণে আসছেন। পর্যটকরা নানা হয়রানি ও ভোগান্তির কারণে মহেশখালী বিমুখ হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীদের ঘাটে ওঠা-নামায় বিড়ম্বনা বৃদ্ধি পেলেও সেদিকে প্রশাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ ও নজর নেই বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ। দিন দিন যাত্রী সাধারণের বিড়ম্বনা শুধু বেড়েই চলেছে। সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষসহ প্রতিদিন যুক্ত হওয়া হাজার হাজার পর্যটক মহেশখালী দ্বীপে আসা-যাওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঘটনার চিত্র ধারণকালে দেখা যায় শতশত পর্যটক ও যাত্রী বিকাল ৫ টায় জেটি ঘাটে স্পীড বোট ও লোকাল যাত্রীবাহী গাম বোটের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলেও মহেশখালীর প্রভাবশালী পরিবারের লোকজন ও সরকারী কর্তারা তাৎক্ষনিকভাবে দ্রুত কক্সবাজার চলে যাচ্ছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বর্তমানে ঢাকায় ছুটিতে আছেন এবং এ ধরণের কোন খবর পাননি বলে জানান।

পাঠকের মতামত: