মহেশখালীতে এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিবাহ থামিয়ে দিলেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম। সূত্রে জানা যায়,উপজেলার পৌরসভাস্থ গোরকঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সংযত কারনে ছাত্রী’র নাম প্রকাশ করা হল না। সে গোরকঘাটাস্থ পশ্চিমপাড়া এলাকার আক্তার খলিফার মেয়ে।
সম্প্রতি কয়েকদিনের মধ্যে ওই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়ে যাচ্ছে; এমন খবর পেয়ে ১৭জানুয়ারি মঙ্গলবার দিন মহেশখালী উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম মহোদয় ,ওই ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে ,তার অভিভাবক কে বাল্য বিবাহ সম্পকে সচেতনতাবোধ সৃষ্টির মাধ্যমে ছাত্রীটিকে বিবাহ থেকে ফিরিয়ে আনলেন এবং স্কুল মূখী করলেন।
স্থানীয় এলাকাবাসি ইউএনও মহোদয়ের এমন উদ্দ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে লাইক,কমেন্টস এর ঝড় উঠে।
মহেশখালী উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম এই প্রতিবেদক কে জানান, দেশ এখন উন্নয়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় মহেশখালীর শিক্ষার হার খুবই কম। শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া মহেশখালীর সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনাবোধ সৃষ্টি করতে,তথা শিক্ষায় মনোযোগি করে তুলতে অত্র এলাকায় প্রতিদিন কোন না কোন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্টান, সামাজিক প্রতিষ্টান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে আসছি।
ইতিমধ্যে মহেশখালীতে সরকারী বিভিন্ন উন্নয়নমূখী প্রকল্প হতে চলছে। আর এসব প্রকল্পের প্রতিষ্টান গুলোতে চাকুরী কিংবা কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে হলে; এতদঅঞ্চলের নাগরিকদের শিক্ষিত হয়ে এলাকার উন্নয়নের অংশিদারিত্ব নিতে হবে।
শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। মাত্র ৩০% শিক্ষার হার মহেশখালীতে। সুতরাং নারীকে শিক্ষায় সুযোগ দিয়ে,আত্মনির্ভরশীল হতে সহযোগীতা করার জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকগণ কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে আহবান জানান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম।
ছবিরক্যাপশন: মহেশখালীতে এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বাড়িতে গিয়ে থামিয়ে দিলেন ইউএনও মোহাম্মদ আবুল কালাম।
পাঠকের মতামত: