মহেশখালী সাংবাদদাতা :: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ায় মহেশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকা ধলঘাটা ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নে প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ২৬ মে বুধবার সকাল ১১টায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে অন্তত ১০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। নতুন করে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কিত ধলঘাট ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বুধবার দুই-তিন ফুট পানি বেড়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ বাড়ার পাশাপাশি জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ধলঘাট ইউনিয়নের পশ্চিমে সরইতলা, আমতলী, সাপমারার ডেইল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
ধলঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ বলেন, সকালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে জিও ব্যাগের বাঁধটি সম্পূর্ণ ভেঙে সাগরে বিলীন হয়ে যায়। এ কারণে জোয়ারের পানি ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকে সরইতলাসহ ৭টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাইটপাড়া আংশিক বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। উক্ত ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। সাইটপাড়ার বাসিন্দারা জোয়ার ভাটার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। টেকসই বেড়িবাঁধ নিমার্ণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ধলঘাটা ইউনিয়নের সরইতলা, আমতলী বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম। আর জোয়ারের পানি ঢুকে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
মাতারবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ বলেন, পশ্চিম ষাইটপাড়ার ভাঙাবাঁধ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার না করলে পুরো এলাকা সাগরে তলিয়ে যাবে। আর ভাঙা বাঁধের কারণে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে এই এলাকার অন্তত ৮০ হাজার মানুষ।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহাফুজুর রহমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ধলঘাট ও মাতারবাড়ীতে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে বেশ কয়েকটি গ্রামে প্লাবিত হয়েছে । অন্তত বর্ষা মৌসুম ঠেকাতে বাঁধ নিমার্ণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: